পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে এ আলোচনা শুরু করেন তিনি। এর আগে বুধবার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে। তাই প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালেই বিরোধী দলের প্রধান রাজা রিয়াজকে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। উল্লেখ্য, কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে বিরোধী নেতা রাজা রিয়াজ বলেছিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হবে না।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের বিষয়ে শুক্রবার শাহবাজ ও রাজা রিয়াজ ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে পাকিস্তানের সংসদীয় কমিটি বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পাবে। সেখানেও কোনও সমাধান না এলে নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বেছে নিতে দুই দিন সময় পাবে। কমিশনের কাছে প্রার্থীদের নামের যে তালিকা দেওয়া হবে, সেখান থেকেই কাউকে বেছে নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তবে শেষ মুহূর্তে যে নামটি সবথেকে বড় হয়ে উঠে আসছে সেটি হল প্রাক্তন বিদেশসচিব জলিল আব্বাস জিলানির। জানা গিয়েছে, আব্বাস জিলানির জন্য জোরদার সুপারিশ করেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি।