পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের জাহাঙ্গিরাবাদে জিনসিতে অবস্থিত মক্কা মসজিদের পরিচালনা কমিটি এক করোনা টিকাদান শিবিরের আয়োজন করে। মসজিদ প্রাঙ্গনেই টিকাদান চলে। লক্ষ্য ছিল টিকা দেওয়ার পরে লোকদের নামায পড়তে উদ্বুদ্ধ করা। নামাযিসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি শিবিরে তাদের টিকা পেয়েছিলেন। মহিলারাও টিকা নেন। মসজিদ কমিটির পরিচালনায় শিবিরটি সকাল ৯-৩০ মিনিটে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়। ২০ বছর বয়সী মেয়ে জয়নব খানকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছিল।
মসজিদ কমিটির সদস্য জামিল আহমেদ বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম যে সবাই যেন করোনা প্রতিরোধক টিকা গ্রহণ করে। আর সে কারণেই, শিবিরে আসা লোকেদের ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়াতে বলেছি। ভোপাল পৌর কর্পোরেশনের সহায়তায় এই শিবিরটির আয়োজন করা হয়। যে তাঁবুর নীচে টিকা দেওয়া হচ্ছিল তা রঙিন বেলুনে সজ্জিত ছিল এবং প্রবীণ নাগরিকদের বসার জন্য চেয়ার রাখা হয়। আধার কার্ড দেখিয়ে নাম নিবন্ধন করতে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে মসজিদ কমিটির সদস্যরা।”
সত্তর বছর বয়সী জোহরা বিবি তার মেয়ে এবং পুত্রবধূকে নিয়ে শিবিরে পৌঁছেছিলেন। ‘শহরে করোনা ভাইরাস কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমি এ থেকে নিজেকে নিরাপদ করতে এখানে এসেছি’ বলেন জোহরা বিবি।
ওই এলাকার কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি শাকিল খান, নিবন্ধকরণের কাজে সহায়তা করছিলেন। মক্কা মসজিদ এলাকায় ৩০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু দ্রুত এলাকার লোকজন ভীড় করে যে বিকেলেই ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে যায়,পরে আরও ভ্যাকসিন আনা হয় এবং কাজ পরিচালনার জন্য আরও এক নার্সকে ডেকে পাঠাতে হয়। মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ জাভেদ আহমেদের মতে, মসজিদের ইমাম সাহেবও নামাযিদের ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, নামাযিদের পাশাপাশি হিন্দু ও শিখ সহ ওই অঞ্চলে বসবাসরত লোকেরাও শিবিরে এসেছিলেন। তারা টিকা নেন এবং শিবির পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।