কৌশিক সালুই, বীরভূম সচেতনতা এবং যোগাযোগের অভাবে আদিবাসী সমাজের একটা বৃহৎ অংশ করোনা ভাইরাসের টিকা থেকে বঞ্চিত। সেই পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজকে মারন রোগ থেকে মুক্ত করতে টিকাকরণ কর্মসূচি নেওয়া হলো। রবিবার বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে, প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সেই টিকা করনের পাশাপাশি চক্ষু এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হলো মহম্মদ বাজারের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দ্র পাহাড়ি গ্রামে।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সারা রাজ্যের সঙ্গে বীরভূম জেলাতে জোর কদমে চলছে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ কর্মসূচি। নিজ উদ্যোগে বহু সাধারণ মানুষ হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়ে আসছেন। আর এরমধ্যে আদিবাসী সমাজের মানুষজন সচেতনতা এবং সঠিক যোগাযোগের অভাবে সেই টিকাকরণ কর্মসূচি থেকে দূরে ছিলেন। এই জেলায় ১০ শতাংশের বেশি আদিবাসী মানুষের বসবাস। সেই পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষকে মারণ রোগ থেকে বাঁচাতে তাদের এলাকা তে গিয়ে টিকাকরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী, লাভপুর বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের মুখ্য পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিনহা সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দ্র গড়িয়া গ্রামে “সুরক্ষা” কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।
৭০০ জনের বেশি মানুষজনের এদিন করোনা ভাইরাসের টিকা করন করা হয়। এছাড়া ৩০০ জনের বেশী আদিবাসী মানুষের স্বাস্থ্য এবং চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। চক্ষু পরীক্ষা শংকর নেত্রালয় এর সহায়তায় করা হয়েছে। এই এই স্বাস্থ্য এবং চক্ষু পরীক্ষা তে কারুর ওষুধ, চশমা বা অপারেশন এর প্রয়োজন হলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরাসরি সহায়তা করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী বলেন,” পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজের জন্য করোনার টিকা করন স্বাস্থ্য এবং চক্ষু পরীক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোন ধরনের সহায়তা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে করা হবে”। বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার সম্পাদক রবিন সোরেন বলেন,” রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বন্দোপাধ্যায় আদিবাসী সমাজের জন্য সব সময় এগিয়ে এসেছেন। সেই মতো এবারও আমাদের সমাজের মানুষদের জন্য টিকা করন এবং স্বাস্থ ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির এর ব্যবস্থা করা হলো”।