পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ভ্যাকসিন না পেয়েও মিলছে ‘টিকাকরণের শংসাপত্র’। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত ২১ জুনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের রজত ডাংরে বলে এক ব্যক্তির মোবাইলে মেসেজ আসে, তার প্রতিবন্ধী ছেলে বেদান্ত ডাংরে ভ্যাকসিন পেয়েছে। এই মেসেজ দেখে অবাক হয়ে যান রজত। কারণ রজতের ছেলের বয়স মাত্র ১৩ বছর। আরও বিভ্রান্তিরকর ঘটনা, বেদান্ত বয়স ১৩’র জায়গায় শংসাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ৫৬। রজত জানান, আরও অবাক হওয়ার বিষয় তিনি ওই শংসাপত্রের লিঙ্কটি ডাউনলোড করে দেখেন, তার ছেলে বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জন্য বেদান্তের পেনসনের আবেদন করেছিলেন। সেই সংক্রান্ত ফর্ম তিনি স্থানীয় পুরসভায় জমা দেন। সেই ফর্মটিকে তিনি ডাউনলোড করে দেখতে পান।
বেদান্ত ডাংরে’র মতো প্রায় একই সমস্যার স্বীকার হয়েছেন চেয়েন্দ্র পাণ্ডে। তার মোবাইল পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনটি মেসেজ আসে। সেখানে লেখা আছে কাতিকরাম, কালিন্দ্রী, চন্দন ভ্যাকসিন পেয়েছেন। চেয়েন্দ্র পাণ্ডে’র দাবি শংসাপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদের তিনি চেনেনই না।
ভোপালের পিজিবিটি কলেজ রোডে বসবাসকারী ৪৬ বছর বয়সী নুজহাত সালিমও ২১ জুন ভ্যাকসিন পাওয়ার বার্তা পান। তিনি পেনশনভোগী নন তবে পেনশনের নথিগুলি তার পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে রেকর্ড করা হয়।
ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ১৭.৪২ লক্ষ মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই দাবি ভিত্তিহীন। কারণ এর মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষই ভ্যাকসিন না পেয়েই শংসাপত্র পেয়ে গেছেন।
এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী বিশ্বাস সারং এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানিয়েছেন, সরকারের কাছে এই রকম কোনও তথ্য নেই। আমি প্রথমবার এটি শুনছি। যদি কিছু হয়, তদন্ত করা হবে।
এই ঘটনায় কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আর সরকার এত টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে বলে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে কৃতিত্বের দাবি করছে।