বিশেষ প্রতিবেদন: আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, ২০০১ সালের পর থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য আত্মহত্যা করেছেন, এই সংখ্যা এর চেয়ে বেশিও হতে পারে।
গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন মুলুকে হামলা চলার পর আন্তর্জাতিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ঘোষিত যুদ্ধ চলাকালীন ৩০ হাজার ১৭৭ জন সৈন্য আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। সে সময় থেকে আসলে যুদ্ধ করে মারা গিয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৫৭জন মার্কিন সেনা।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, মার্কিন সরকার শীর্ষ পদস্থ সেনা আধিকারিক মহলেই আত্মহত্যার রেকর্ড রাখে, তাই রিজার্ভ বেঞ্চের সেনা বা ন্যাশনাল গার্ডের ছোট ছোট পদগুলিতে যারা আত্মহত্যা করেন তাদের খবর অনেক সময়ই হারিয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের মাটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা সত্ত্বেও মার্কিন সেনায় আত্মহত্যার হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
২০০৭ সালের পর থেকে আত্মহত্যার হার কমলেও তা বাড়তে শুরু করে ২০১২ সালে এবং বিগত তিন বছর এই সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। এই রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে মার্কিন সেনা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ’আমাদের সামরিক বিভাগের লোকজনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক। সময়ের পরিক্রমায় আমেরিকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সমাজে যা ঘটছে তা থেকে আমাদের সেনা সদস্যরা মুক্ত নয়।’