পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পরমাণু চুক্তিতে ফেরার শর্তে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমেরিকা রাজি হয়েছে বলে জানাল তেহরান। এরই পাশাপাশি ইরানের কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তার নাম কালো তালিকা থেকে প্রত্যাহার করার বিষয়েও ওয়াশিংটন সম্মত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ দফার আলোচনায় আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়। ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকটি রাষ্ট্র ও একটি সংস্থার সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তি নতুন করে যথাযথভাবে কার্যকর করতে বিগত বেশ কিছু দিন ধরে এই আলোচনা চলছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারণে মাঝে বন্ধ ছিল আলোচনা।
এ ব্যাপারে ইরানি প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি বলছেন, ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ট্রাম্প আমলে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত সব ধরনের বীমা, তেল ও সমুদ্র বাণিজ্য বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে আমেরিকা। পারমাণবিক চুক্তি টিকিয়ে রাখতে ভিয়েনা আলোচনায় অংশ নেয় ইরানের একদল প্রতিনিধি এবং জার্মানি, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া ও ব্রিটেন। বৈঠকে পরোক্ষভাবে অংশ নেন মার্কিন প্রতিনিধিগণ।
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, নতুন করে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ট্রাম্প আমলে তেহরানের ওপর আরোপিত ১ হাজার ৪০টি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনির অভ্যন্তরীণ পরিষদের কিছু সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন। এর পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা ত্যাগের আগে পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু চুক্তিতে সই করা অন্য দেশগুলো এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এক পর্যায়ে ব্যাপক মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে তেহরান। তার পরই নতুন করে আলোচনা শুরু করে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।