পুবের কলম ডেস্ক,১১ জুন :
কথিত মুসলিম যুবকদের বিরুদ্ধে ‘ফতোয়া’ নিতে দারুল উলূম দেওবন্দে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় একটি হিন্দু সংগঠন।পুলিশ ওই দলের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বাড়িতেই আটকে রাখে।ওই সংগঠনের দাবি,’হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলতে’ এবং ‘লাভ-জিহাদ’ প্রচার করার জন্য তাদের কব্জিতে ‘কালাওয়া’ (পবিত্র লাল সুতো) বাঁধা ধর্মীয মতে বৈধ কিনা তা লিখিতভাবে জানাতে হবে সাহারানপুর জেলার দারুল উলূম দেওবন্দের মাওলানাদের ।ওই সংগঠনের বক্তব্য, ‘সংখ্যালঘু কট্টরপন্থীদের প্রথম নিশানাই কিশোরী থেকে যুবতী মেয়েরা। ধর্মান্তরিত করার জন্য প্রেমের অভিনয় করে মেয়েদের ফাঁসানোই সেখানে মূল উদ্দেশ্য কিছু মানুষের।”এই সম্পর্কে ফতোয়া দিতে হবে দারুল উলূম দেওবন্দকে।
ক্রান্তি সেনা এবং শিবসেনার নেতা-কর্মীরা ঘোষণা করেছেন, তারা দারুল উলূমের কাছ থেকে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে ফতোয়া চাইবেন।বিষয়টি জানতে পেরে মুজাফফরনগর শহর ও চার্থওয়াল এলাকায় পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
স্টেশন হাউস অফিসার রাকেশ শর্মা বলেছেন, “সাহারানপুর জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা এখানে এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।”
ক্রান্তি সেনার প্রতিষ্ঠাতা ললিত মোহন শর্মা বলেছেন, “ফতোয়া নিতে যাওয়া একটি প্রতিনিধি দলকে থামানো হয়েছিল এবং পুলিশ তাদের আটকে রেখেছে। যোগী সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্রান্তি সেনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও তাদের সতর্ক করছে। আমরা এই বিষয়ে চুপ থাকব না এবং খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গে দেওবন্দ ঘেরাও করা হবে।”