ভোপাল, ৩ মার্চ: মোদি জমানায় দেশে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। এমনকি ভারতের বেকারত্বের হার পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণ। বিগত কয়েক বছরে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ভুটানও। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। রবিবার মধ্যপ্রদেশ থেকে নরেন্দ্র মোদি’কে একযোগে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধি। নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ না হলেও জোরকদমে প্রচারপর্ব শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী দল। সম্প্রীতি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে মধ্যপ্রদেশে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধি। আর সেখান থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা। এদিন রাহুল বলেন, ‘ভারতে বর্তমানে বেকারত্বের পরিমাণ ২৩ শতাংশ। পাকিস্তানে সেটা ১২ শতাংশ। এমনকি বাংলাদেশ এবং ভুটানের থেকেও ভারতে বেকারত্বের পরিমাণ বেশি। দেশে বেকারত্ব যখন ৪০ বছরের শীর্ষে, তখনই নোটবন্দি ও জিএসটি কার্যকর হয়। তার বিরূপ প্রভাব বেশি পড়েছে দরিদ্র মানুষ, শ্রমিক, ছোট দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের উপরে। তাঁরা আর্থিক অবিচারের আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন। বর্তমানে দেশে ধনী আরও ধনী হচ্ছেন, গরীব যথারীতি গরীব থাকছে। সম্পদের বণ্টনে অসাম্য আরও বাড়ছে।’
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রতি বছর দুই কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কোথায় সেই চাকরি? উত্তর অজানা। ১০ বছরের ‘অন্যায় কাল’-এ দেশে চাকরির আকাল নিয়ে এসেছেন মোদি। তবে আপনারা আমাদের ভরসা করলে খুব শীঘ্রই সুদিন ফিরে আসবে।’