পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রুশ সেনাবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। বিশেষত পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় টিকতে পারছে না পশ্চিমা মদদপুষ্ট সেনাদল। এই যুদ্ধে প্রতিদিন ইউক্রেনের অন্তত ২০০ সৈন্য নিহত ও ৫০০ সৈন্য আহত হচ্ছে। ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পদোলিয়াক বলেছেন, প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের দখল নিতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। রুশ বাহিনীর অবিরাম বোমা হামলায় চাপে রয়েছে ইউক্রেন। জেলেনস্কির উপদেষ্টা পোদোলিয়াক জানান, দোনবাসে পারমাণবিক অস্ত্র বাদে প্রায় সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করছে রাশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে, ভারী কামান, রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান। পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতার দিক দিয়ে রাশিয়ার থেকে ইউক্রেন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কির উপদেষ্টা। এ কারণেই ইউক্রেনের বিপুলসংখ্যক সেনা হতাহত হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের কথাই সামনে এনেছেন তিনি, ‘চাই পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা’। ইউক্রেনের ১৫০ থেকে ৩০০টি রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানান মিখাইল পোদোলিয়াক। তিনি বলেন, ‘কামানের জন্য আমরা যে দাবি করেছি, তা খামখেয়ালি বিষয় না, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে এর প্রয়োজন রয়েছে।’ শুধু ইউক্রেনেরই না, পালটা হামলায় বিপুলসংখ্যক রুশ সেনাও মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ। একই কথা লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্গেই গাইদাইয়েরও। তাঁর ভাষায়, রাশিয়ার সৈন্যরা ‘মাছির মতো মারা যাচ্ছে।’ তবে পোদোলিয়াকের সুরে সুর মিলিয়ে এটাও বলতে ভোলেননি যে, কামানের অভাবে তারা সমস্যার মুখে রয়েছেন। পূর্ব ইউক্রেনে এখন মূল লড়াইটা চলছে সেভেরোদনেৎস্ক শহর ঘিরে। সেখানে চলছে রাশিয়ার তীব্র হামলা। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কথায়, রাশিয়ার কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দোনবাস শেষপর্যন্ত কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা সেভেরোদনেৎস্কের লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ দিকে, রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত ভেসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, দোনবাসে রাশিয়ার অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং খুব শীঘ্রই রাশিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেবে।