১) স্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের সেরা কল্যাণীর হেলথ সেন্টার
২) অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমের পরিকাঠামোগত রানাঘাট হাসপাতাল
৩) করোনা রুখতে মাস্ক ফের মাস্ক পরিধানে জোর দেওয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিকর্তা
পুবের কলম প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য পরিষেবায় দুটি সম্মান মিলল রাজ্যের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যের কল্যাণী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের সেরা সম্মান দিয়েছে। অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমের উন্নত পরিকাঠামোয় সেরা রানাঘাট হাসপাতাল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল কুয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ড-এর মূল্যায়ণে আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার বা ইউপিএইচসি গুলির মধ্যে দেশের সেরা শিরোপা অর্জন করেছে নদিয়া জেলার কল্যাণীর পিকনিক গার্ডেন আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার। পাশাপাশি প্রসূতিদের জন্য ব্যবহৃত অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমের পরিকাঠামোগত বিচারে ‘লক্ষ্য’তে উত্তীর্ণ হল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর যে উন্নয়ন ঘটেছে মমতার রাজত্বপাটে তার ভূয়ষী প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, পরিষেবা প্রদান আর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নিরিখে তাঁরা বাংলাকে জোড়া শিরোপায় ভূষিতও করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২০ ও ২১ জানুয়ারি কল্যাণীর ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মূল্যায়নের কাজ হয়। মোট ১২টি বিভাগে মূল্যায়নের কাজ হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ড্রেসিংরুম, ইমার্জেন্সি বিভাগ, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পরিবার পরিকল্পনা, নবজাতক ও প্রসূতি বিভাগ, ফার্মেসি সহ মোট ১২টি বিভাগের প্রত্যেকটি মিলিয়ে সার্বিকভাবে ৯৫.৫ শতাংশ নম্বর পায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যা দেশের অন্য কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পায়নি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ধরনের কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় প্রথমে আন্তঃজেলা, তারপর রাজ্য এবং সবশেষে জাতীয় স্তরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। মূলত, ক্লিনিক্যাল সার্ভিস, ইনফেকশন কন্ট্রোল, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সহ মোট ৮টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতিক্ষেত্রেই ৭০ শতাংশ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় স্তরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো মূল্যায়নে ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষায় উত্তীর্ণ হল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল।
পুরস্কার হিসেবে আগামী এক বছর চার লক্ষ টাকা পাবে ৮৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করা এই হাসপাতাল।
কেন্দ্রের সমীক্ষায় জেলার দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তথা হাসপাতাল জোড়া শিরোপা ছিনিয়ে আনায় বেশ খুশি নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছিলাম জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে কেন্দ্রের কাছে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে। কল্যাণীর পিকনিক গার্ডেন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র যা নম্বর পেয়েছে, তা দেশের অন্য কোনও আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র পায়নি। এই সাফল্য জেলার অন্যান্য আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি অনুপ্রাণিত হবে।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পুবের কলমকে বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভালো কাজ হচ্ছে। তাই পুরস্কৃত হচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি। আগামীতে আরও উন্নত হবে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা আরও বলেন, করোনার প্রকোপ ফের বাড়তে শুরু করেছে। তাই মাস্ক পরার উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।