পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা আবহ কাটিয়ে আজ ধর্মতলার মেয়ো রোডে পালিত হচ্ছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজ ভাষণ দিতে উঠেই বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার জনসমাবেশ বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন অভিষেক। মমতাকে কুৎসা করে আটকানো যাবে না। মমতা হারাতে হলে আগে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে লড়াই করুক। তৃণমূলের ছাত্র-যুবরাই ১০ গোল দিয়ে দেবে।
এদিন অভিষেক বলেন, আজকের সভা থেকে আপনারা এমন আওয়াজ তুলুন যাতে গুজরাট থেকে দিল্লি সরকার কেঁপে যায়। বিজেপির অশ্বমেধ ঘোড়া আটকেছে এই মমতা।
অভিষেক এদিন বলেন, সীমান্তে বিএসএফ, সিআইএসএফ থাকতে গরু চোর, কয়লা চুরি হয় কি করে? তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। আমি প্রশ্ন করছি, এসব টাকা কি দিল্লি গিয়ে পৌঁছচ্ছে?
চারদিকে যে দেশ প্রেমের কথা বলে থাকেন, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে ভারতীয় জাতীয় পতাকা ধরতে অস্বীকার করেছেন। সারা দেশের উদ্দেশে কি বার্তা যাচ্ছে?
অভিষেক হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ঘাস যত কাটবে তত বাড়বে। কারুর ক্ষমতা নেই তৃণমূলকে ভারত থেকে সরাতে। আমি মমতা সংগ্রাম দেখে বড় হয়েছি। আমি অন্য ধাতুতে গড়া। তৃণমূল মানুষের সামনে মাথা নত করবে, দিল্লির জল্লাদের সামনে নয়।
অভিষেক এদিন সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে গুণ্ডা, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারকে গদ্দার বলে অভিহিত করেন।
এদিন ফের অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ২১ জুলাই সমাবেশ হল, আর ২২ জুলাই পার্থকে ইডি গ্রেফতার করল, ২৩ জুলাই নয় কেন? দুজনকে গ্রেফতার করলেই কি সব শেষ?
অভিষেক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেখবেন চার পাঁচদিনের মধ্যে আরও বড় কিছু হবে।
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, সংবাদমাধ্যমে ভুল দেখিয়ে দেওয়ার অধিকার আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ছেলে ঘটনা নিয়ে কটা আলোচনা হয়েছে?
ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে অভিষেক দলীয় কর্মীদের গ্রুপ করে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন।