পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোট মিটলেও এখন সন্ত্রাস অব্যাহত। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে কুপিয়ে খুন তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য। মৃতের নাম মইমুর ঘরামি ওরফে ময়না(৪০)। ঘটনা ঘিরে এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মইমুর মগরাহাটের অর্জুনপুরের বাসিন্দা ছিলেন।ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে নিহত তৃণমূল সদস্যের বাড়ির কাছাকাছি বেশ কয়েকজন মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেই সময় ঘরের বাইরে ছিলেন মইমুর। আচমকাই তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেই গুলি প্রথম লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলিতে জখম হয় নিহতের সঙ্গী সাজাহামাল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মইমুর।
দুষ্কৃতীরাও পিছনে ধাওয়া করে। বেশ কিছুটা ধাওয়া করে। এর পর রস্তায় ধরে ফেলে মইমুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ ও আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে। মইমুরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মইমুরের।
মগরাহাট বাজারে মইমুরের একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে। এছাড়াও জমি জায়গা কেনাবেচার ব্যবসা করতেন মইমুর। ব্যবসা সংক্রান্ত কারণেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। এলাকায় বিশাল উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন বারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য মইমুর। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে সেভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক কারণ জানা যায়নি। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, এবারে জয়ী হয়েছিল তার স্বামী। মানুষের উপকারে সব সময় তাদের পাশে থাকত।