পুবের কলম প্রতিবেদক: এনআইএ-এর ওপর হামলা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ‘তোলাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের অবাধ সন্ত্রাসের লাইসেন্স দিতে চায় তৃণমূল। তাতে বাধা দেওয়াতেই বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।’ রবিবার জলপাইগুড়িতে বিজেপির জনসভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪ জুনের পর দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করবে তাঁর সরকার।
এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘তৃণমূল চায়, তাদের তোলাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের অবাধ সন্ত্রাসের লাইসেন্স দেওয়া হোক। তাই যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আসে তখন তৃণমূল তাদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। তৃণমূল আইন ও সংবিধানকে ধ্বংস করার দল’।
এর পরই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালিতে কী হয়েছে তা গোটা দেশ জানে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মা-বোনেদের ওপর কী জঘন্য অত্যাচার হয়েছে তা গোটা দেশ দেখেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখানে সমস্ত বিষয়ে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এখানে চারিদিকে তৃণমূলের সিন্ডিকেটরাজ চলছে। মানুষ অত্যাচার সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে।’
জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে মোদির প্রশ্ন, ‘সন্দেশখালির অপরাধীদের কি কঠরোতম সাজা হওয়া উচিত? তাদের বাকি জীবন কি জেলে কাটা উচিত? রেশন দুর্নীতি, নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্তদের শাস্তি হওয়া উচিত?’