উজ্জ্বল বন্দ্যোোধ্যায়, সুন্দরবন : চোরা শিকারীদের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচাতে এবারে ব্যবহার করা হবে ড্রোন।
সুন্দরবনের জঙ্গলে এবার নজরদারি চালাবে অত্যাধুনিক ড্রোন। চোরাশিকারি, জঙ্গলে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ও বাঘের গতিবিধি লক্ষ রাখা হবে এই ড্রোনের সাহায্যে।
সম্প্রতি ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের মাতলা, রায়দিঘি ও রামগঙ্গা রেঞ্জের বনকর্মীদের নিয়ে একটি আধুনিক ড্রোন পরিচালনা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিলো। উদ্যেশ্য ছিল প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি বাড়ানো। ড্রোন দিয়ে গ্রামে বাঘ বা অন্যান্য কোনও বন্যপ্রাণী প্রবেশ করলে আকাশপথে নজরদারি করতে সাহায্য করবে। চোরাশিকারিরা বনে ঢুকলে বা বেআইনি কাঠ সংগ্রহকারীদের উপরেও এর সাহায্যে নজর রাখা সম্ভব হবে।
এই আধুনিক ড্রোনটি গ্রামে বাঘ প্রবেশ করলে তা তুলে ধরবে বন দফতরের কাছে। বনদফতরকে আরও ভালো ভাবে আকাশপথে নজরদারির মাধ্যমে বাঘের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করবে। বনকর্মীদের পায়ে হেঁটে বাঘের অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা কমবে। ফলে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে। এ ছাড়া আধুনিক হওয়ার এই ড্রোনটি মাটি থেকে অনেক কম উচ্চতা দিয়েও উড়তে সক্ষম। যার ফলে বাঘ-সহ অন্য বন্যপ্রাণীর অবস্থান নির্ণয় করে খুব দ্রুত সুষ্ঠ পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করবে।
প্রয়োজনে এই ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গলে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা যাবে।দক্ষিন ২৪ পরগনা বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল বললেন, ডব্লিউটিআই বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি ব্লকের অন্তর্গত দেউলবাড়ি, গুড়গুড়িয়া ও মৈপীঠ অঞ্চলের মানুষের জঙ্গল নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
এ ছাড়া বন্যপ্রাণ উদ্ধার, স্থানীয়দের মধ্যে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে। সেই কাজ কতটা এগোচ্ছে সেটাও নজরদারি চালানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে।আর সুন্দরবনের নজরদারির পক্ষে এই অত্যাধুনিক ড্রোনের ব্যবহার চোরাশিকারিদের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে বন দফতর।