পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের পর এবার ডেনমার্ক। ফের পবিত্র কুরআনে আগুন দিয়ে ইসলামি বিশ্বে ক্ষোভের আগুন জ্বালালেন উগ্রপন্থী ড্যানিশ-সুইডিশ রাজনীতিবিদ রাসমাস পালুদান। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে পালুদান ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনগেনে অবস্থিত এক মসজিদের সামনে ও তুর্কি দূতাবাসের বাইরে পবিত্র কুরআনে আগুন দিয়ে বর্বরতার পরিচয় রেখেছেন। সুইডেনের মতোই এদিন ডেনমার্কের পুলিশি নিরাপত্তায় এই বিদ্বেষমূলক কাজ করেন পালুদান। ইতিমধ্যে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ড্যানিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তুরস্ক। তুর্কি বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ডেনমার্কের মনোভাব অগ্রহণযোগ্য। ইউরোপে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের সংবেদনশীলতাকে আঘাত করে এমন জঘন্য কাজের প্রতি সহনশীলতা দেখানো শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অনুশীলনকে হুমকির মুখে ফেলে এবং বর্ণবাদ ও মুসলিম বিরোধিতাকে উসকে দেয়।’ শুক্রবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের পাশে একটি মসজিদের সামনে ও দেশটিতে তুরস্কের দূতাবাসের বাইরে কুরআনে আগুন দেন ‘বর্ণবিদ্বেষী’ ও ‘উগ্রবাদী’ নেতা পালুদান। জঘন্য এই কাজ করার পর তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, সুইডেনকে ন্যাটো জোটে না অন্তর্ভুক্ত করলে প্রতি শুক্রবার কুরআন পোড়াবেন তিনি। এর আগে ২১ জানুয়ারি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন পোড়ান তিনি। সেই ঘটনার পর থেকেই মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তুরস্ক, ইরান, জর্ডানসহ বহু দেশে কুরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শুক্রবার জুমার নামাযের পর মুসল্লিরা ইরানের বিভিন্ন শহরে মিছিল বের করেন। বাকস্বাধীনতার নামে পবিত্র কুরআন অবমাননার মতো অন্যায়কে বৈধতা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা ইউরোপের সরকারগুলোর কঠোর নিন্দা জানান। তারা বলেন, পবিত্র কুরআন পোড়ানোর সঙ্গে বাকস্বাধীনতার কোনও সম্পর্ক নেই অথচ ইউরোপের সরকারগুলো তাই বলছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, কুরআন পোড়ানো মারাত্মক রকমের উসকানি এবং বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত। ইসলামের প্রতি এ ধরনের শত্রুতা রুখতে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।