পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: গাজিয়াবাদের গণধর্ষণের ঘটনা নির্ভয়া গণধর্ষণের জঘন্য স্মৃতিকে উসকে দিয়েছিল। বস্তায় মুড়িয়ে হাত-পা বেঁধে রাস্তায় পাওয়া যায় ৩৬ বছরের এক মহিলাকে। তাঁর গোপনাঙ্গেও লোহার রড পাওয়া যায়। ঘটনার বর্বরতা দেখে নিজে পদক্ষেপ নেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। গাজিয়াবাদ পুলিশের কাছে তিনি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। যদিও তদন্তে নেমে অন্য তত্ত্ব তুলে ধরেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। সেখানকার পুলিশ আধিকারিক প্রবীণ কুমারের মতে , ওই নির্যাতিতা যা বলেছিলেন, তার সবটাই বানানো গল্প।
ওই নির্যাতিতা দাবি করেছিলেন, তাকে অপহরণ করে ৫ দুষ্কৃতি। টানা দু’দিন গণধর্ষণ করার পর ওই অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু পুলিশ দাবি করেছে, ওই দুদিন তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন। মোবাইলের সিগনাল ট্র্যাক করে দেখা গেছে, আশ্রম রোডের কাছে যেখানে ওই নির্যাতিতাকে পাওয়া গেছিল, সেখানে ওই ফোনটি ইচ্ছা করে বন্ধ করে দেয় তারই এক বন্ধু। শুধু তাই নয়, এই ধর্ষণের ঘটনা যাতে ব্যাপক প্রচারের আলোয় আসতে পারে তার জন্য ওই মহিলার এক বন্ধু পেটিএম এর মাধ্যমে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। পুলিশের মতে ইচ্ছা করেই এই ধর্ষণের ঘটনা রটাতে চেয়েছিল অভিযোগকারিণী ও তার বন্ধুরা। কারণ তাদের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পত্তিগত বিবাদ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, দুদিন ওই মহিলা ও তার বন্ধুরা যে গাড়িতে ছিল, সেই গাড়িটিরও হদিশ পেয়েছে পুলিশ। যে ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে থেকে ৪ জনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এখন নতুন করে ওই মহিলার বন্ধুদেরকেও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তিনটি ফৌজদারি মামলা চলছে বলে মত পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে উদ্ধার করার পর যখন গাজিয়াবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন।
মিরাটের হাসপাতালে ভর্তি করলেও তিনি পরীক্ষা করাতে নারাজ ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। পরে দিল্লির জিবিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নির্যাতিতাকে। সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ওই মহিলার শরীরে কোনো অভ্যন্তরীণ আঘাত পাওয়া যায়নি। পুলিশের মতে গোটা ঘটনাটাই একটা ষড়ষন্ত্র। ওই ৫ জনকে ফাঁসানোর জন্যই ওই মহিলা গল্প সাজিয়েছিলেন।
ওই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ১৬ অক্টোবর রাতে একটি জন্মদিনের পার্টি শেষে যখন দিল্লি ফেরার জন্য বাসস্ট্যান্ডে তিনি অপেক্ষা করছিলেন, তখন তাকে অপরহণ করে গণধর্ষণ করা হয়।