পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘ডিজিটাল লেনদেনের যুগে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইউপিআইকে ভালোবেসে ফেলেছেন,’ এই কথাটি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনার সময় ভারত ডিজিটাল লেনদেনকেই বেশি আপন করে নিয়েছে। এদিকে বুধবার সকাল হতে না হতেই ইউপিআই লেনদেনে চার্জ বসতে চলেছে শুনে মাথায় হাত দেশবাসীর। বিশেষ করে সেইসব পেটিএম, ফোনপে, গুগল পে ব্যবহারকারী বেশি চিন্তায় পড়েছেন।
ন্যাশনাল পেমেন্টেস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) তরফে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, এবার থেকে দুহাজার টাকার মার্চেন্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে ১.১ শতাংশ ইন্টারচেঞ্জ চার্জ দিতে হবে। ১ এপ্রিল তারিখ থেকে লাগু হতে চলেছে এই নিয়ম।
জানা গিয়েছে, যে সব ব্যবহারকারী প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট (পিপিআই) অর্থাৎ বিভিন্ন ওয়ালেট ব্যবহার করে ২০০০ টাকার বেশি পেমেন্ট করবে তাদের দিতে হবে এই চার্জ। অনলাইন লেনদেন গ্রহণ এবং সম্পন্ন করার খরচ হিসাবে বসানো হচ্ছে এই ১.১ শতাংশ ইন্টারচেঞ্জ চার্জ বা ইন্টারচেঞ্জ ফি। মার্চেন্ট লেনদেনের সময় অঙ্কের পরিমাণ দুহাজার টাকার বেশি হলে এই চার্জ লাগবে। মার্চেন্ট-এর ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন চার্জ বেঁধে দিয়েছে এনপিসিআই। এগ্রিকালচার, টেলিকম ক্ষেত্রে এই চার্জের পরিমাণ কম রয়েছে।
অনলাইন ওয়ালেট যেমন পেটিএম, ফোনপে, গুগল পে, অ্যামাজন পে ইত্যাদি, এছাড়া প্রি-লোডেড গিফট কার্ড অর্থাৎ আগে থেকে ওয়ালেটে কিনে রাখা গিফট কার্ডকেও এই ক্যাটাগরিতে রেখেছে এনপিসিআই। পিপিআই পেমেন্ট করার অর্থ হল পেটিএম ওয়ালেটে থাকা টাকা দিয়ে কোনও মার্চেন্ট-কে (যেমন এগ্রিকালচার, টেলিকম, রেস্তোরাঁ) পেমেন্ট করলে সেটি প্রিপেইড পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট হিসাবে ধরা হবে।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে গ্রাহকের উপর সংস্থাগুলি যেমন মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট হিসাবে চার্জ বসায় ঠিক তেমনই এই চার্জ আরোপ করবে এনপিসিআই।
গ্রাহক যদি প্রিপেইড সার্ভিস বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই টাকা ওয়ালেটে লোড করে সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চার্জ কাটা হবে গ্রাহকের উপর। অন্যদিকে এই টাকা যদি ব্যাংকের মাধ্যমের ওয়ালেটে লোড করা হয় তাহলে কোনওরূপ চার্জ দিতে হবে না গ্রাহকদের।