পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন ঘোষণায় কোনও তাড়াহুড়ো করবে না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ৩০ দিন পার হলে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর থেকে ওয়েনাড়ে উপ নির্বাচন কবে, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। এবার সেই চাঞ্চল্যের মধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বুধবার জানিয়ে দেন, কোনও তাড়াহুড়ো নেই।
উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য সুরাটের আদালত ৩০ দিন সময় দিয়েছে, সেই সময়সীমা পার হওয়ার আগে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, কমিশন এই মুহূর্তে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শূন্য হওয়া আসনে উপ নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফ্রেব্রুয়ারির পর থেকে যে আসনগুলি খালি হচ্ছে, সেখানে কবে উপ নির্বাচন হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আরও জানান, ওয়েনাড়ে আসন খালি হয়েছে। এই খবর তাদের কাছে এসেছে গত ২৩ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী, তার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হয়। সাধারণত কোনও কেন্দ্রের মেয়াদ যদি এক বছরের কম থাকে, তাহলে সেখানে উপনির্বাচন করানো হয় না। কিন্তু ওয়েনাড়ের ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তি হতে এক বছরেরও বেশি সময় বাকি। ফলে রাহুলের হারানো ওয়েনাড় কেন্দ্রে যে কমিশন উপনির্বাচন করানোর কথাই ভাবছে, তা পরিষ্কার। কিন্তু কমিশন যে এই ব্যাপারে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না, সেটিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মো্দির সঙ্গে, নীরব মোদি, ললিত মোদিকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদি’ পদবির সকলের অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধির নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলারই রায়দান করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাহুল গান্ধি দোষী। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। সরকারি ভবন খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।