বিশেষ প্রতিবেদন: ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় মৃত্যুপুরী গাজা উপত্যকা। পরিস্থিতি এমন যে, গাজার হাসপাতালগুলোর মর্গে লাশ রাখারও জায়গা নেই। ফলে বাধ্য হয়ে লাশ রাখতে হচ্ছে আইসক্রিম ফ্রিজারে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় যেসব ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের অনেকের মরদেহ আইসক্রিম ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনই মরদেহ সমাহিত করার মতো পর্যাপ্ত জায়গাও কবরস্থানগুলোতে নেই। ইয়াসের আলি নামে দেঈর আল-বালাহর সুহাদা আল-আকসা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছেন, ‘হাসপাতালের মর্গে মাত্র ১০টি মরদেহ রাখা যায়। এ কারণে আইসক্রিম ফ্রিজার আনা হয়েছে, যেন অসংখ্য শহিদকে রাখা যায়।’ এ দিকে, রাষ্ট্রসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট তোমা জানিয়েছেন, গাজায় সংঘাতের প্রথম সাত দিনে আনুমানিক ১০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলের কয়েকদিনের টানা বোমাবর্ষণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাজায় ইসরাইলি হামলায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ১০ হাজারে।