পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গত বুধবার বড় আকারে মন্ত্রিসভার রদবদল করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাতে চমক যেমন ছিল, তেমনই ছিল বার্তা দেওয়া এবং হতাশ হওয়ার বিষয়টি। বিজেপি-তে একটা চালু কথা আছে, নরেন্দ্র মোদি যা করেন, তা বড় আকারেই করেন। তিনি সবসময় মেগা ইভেন্ট পছন্দ করেন। তার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার প্রথম রদবদলও তিনি বড় আকারেই করলেন। বুধবার সন্ধ্যায় ৪৩ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন। মোট ১২ জন পুরনো মন্ত্রী বাদ পড়লেন। কিন্তু এই মন্ত্রিসভায় নতুন করে কোন মুসলিম অন্তর্ভূক্ত হননি। মুসলিম সম্প্রদায়ের একমাত্র প্রতিনিধি রইলেন মুখতার আব্বাস নকভি।যিনি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের দায়িত্বে আছেন।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ জাফর ইসলাম আশা করেছিলেন তাকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে। তিনি নিজেও খুব আগ্রহীও ছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এম.জে আকবরের পদত্যাগের পরে তার জায়গাটিতে কোনও মুসলিম স্থান পাবেন। এমন জল্পনা ছিল যে মুসলিম সম্প্রদায়ের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হতেও পারে। কিন্তু তা হয়নি।
কংগ্রেসের মুখপাত্র মীম আফজাল বলেছেন, “দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়ের কোনও গুরুত্ব বিজেপির কাছে নেই। তাই তাদের কর্মসূচিতে সংখ্যালঘুদের বিশেষ গুরুত্ব বা সাধারণ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এমন কোনও আশা করা যায়না।”
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারাও একই মত পোষণ করেন। মুসলিম মজলিস-এ-মুশওয়ারাত সভাপতি নাওয়ায়েদ হামিদ বলেছেন, “সংবিধানিক আদেশ বা অধিকার অনুযায়ী মুসলমানরা বিজেপি-র কাছ থেকে কিছু পাবেন এমন আশা তারা করে না, যত বেশি তারা উপেক্ষা করবে, তত বেশি বৈষম্য বাড়বে, ততই তাদের (বিজেপির)আসল মানসিকতা প্রকাশিত হবে। সবচেয়ে নিগৃহীত, সর্বাধিক প্রান্তিক, এবং দেশের মধ্যে সবচেয়ে বঞ্চিত সম্প্রদায় মুসলিমরা।এনডিএ সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক বিজেপি যদি তাদের কথা না ভাবে সেটিই দুর্ভাগ্যের এবং হতাশার।”
এই রদবদলের মধ্যে দিয়ে বেশ কয়েকটি বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রথম বার্তাটি অবশ্যই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলির জন্য, যেখান আর মাস সাতেকের মধ্যে বিধানসভা ভোট হবে। উত্তর প্রদেশ থেকে সাতজন নতুন মন্ত্রী নেওয়া সেজন্যই। সেখানে জাতপাতের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। অনগ্রসর অনুপ্রিয়া প্যাটেলকে মন্ত্রী করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকেও অজয় মিশ্র, অজয় ভাটের মতো নতুন মুখকে নিয়ে এসে মন্ত্রী করা হয়েছে।কিন্তু নতুন করে কোন মুসলিম মন্ত্রিসভায় স্থান পায়নি।