নিয়ামে, ৩ মে: আফ্রিকার দেশ নাইজারে অবস্থিত আমেরিকার একটি বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে রাশিয়ার সেনারা। নাইজারের জান্তা সরকার দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। গত বছর পর্যন্ত নাইজার সরকারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ ছিল আমেরিকা।
কিন্তু জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর ১ হাজার মার্কিন সেনাকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুশ সেনারা ঘাঁটিতে ঢুকলেও তাঁরা সেখানে থাকা মার্কিন সেনাদের সঙ্গে কোনও ধরনের সংঘর্ষে জড়াননি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা এত কাছাকাছি অবস্থানে এল। এ ছাড়া মার্কিন সেনা এলাকায় রুশ সেনাদের প্রবেশের বিষয়টি নাইজারে অবস্থিত মার্কিন অবকাঠামোগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে মার্কিন সেনারা নাইজার ত্যাগের পর সেগুলোর কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থান করলেও মার্কিন সেনা বা অবকাঠামোর কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা একটি পৃথক কম্পাউন্ডে অবস্থান করছে এবং মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামে তাদের কোনও প্রবেশাধিকার নেই।’ সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে আফ্রিকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে। এর ফলে নাইজার, বুরকিনা ফাসো, চাদ ও মালির সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রাশিয়া।