পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতে মাদক ব্যবহারকারীদের প্রায় ১৩ শতাংশের বয়স ২০বছরের কম। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের এক প্রতিনিধি এই কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফোরামে ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর প্রোগ্রাম অফিসার বিলি ব্যাটওয়্যার বলেন সহিংসতা, শোষণ এবং যৌন নির্যাতন এবং দুর্বল মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের কারণে মাদক ও অ্যালকোহল অপব্যবহারের ঝুঁকি বেড়েছে। মাদকমুক্ত শৈশব শিশুদের অধিকার এমনটাই বলছেন বিলি ব্যাটওয়্যার। তিনি ইউএনওডিসি এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ড্রাগস (ডব্লিউএফএডি)-এর ফোর্থ ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সভায় “ড্রাগস অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইন এ চাইল্ডস ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড রোল অফ সিভিল সোসাইটি” বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। সমীক্ষা বলছে ১০ জন শিশু কিশোরের মধ্যে নয়জন তাদের ১৮ বছর হওয়ার আগেই মাদক নেওয়া শুরু করে।শিশু পাচার, শিশু শ্রম এবং শোষণের ফলে প্রায়শই শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়, যার ফলে মাদক ও অ্যালকোহল ব্যবহারের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি থেকেই যায়। অপরাধের সঙ্গে শিশুদের জড়িত হওয়ার নেপথ্যে বেশিরভাগই আর্থ-সামাজিক অবস্থান এবং সুযোগের অভাব দায়ি হয়ে থাকে। ফোর্থ ওয়েভ ফাউন্ডেশন-ইন্ডিয়া-এর ডিরেক্টর সিসি জোসেফ বলেন, শিশুদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি একটি মারাত্মক প্রবণতা। কেরলে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের হার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। রাষ্ট্রসংঘের অফিসাররা বলছেন শিশুদের সঠিক চিকিৎসা, এবং উপযুক্ত পরিবেশ এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে তাদের মাদক ব্যবহার থেকে দূরে রাখা সম্ভব। “গ্লোবাল ড্রাগ পলিসি অ্যাডভোকেসি এফর্টস ফোকাসড অন চিলড্রেন” বিষয়ক একটি আলোচনায়, কবিতা রত্না, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড ফান্ড রাইজিং ডিরেক্টর বলেন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার শিশুদেরকে খারাপ ভাবে প্রভাবিত করছে। রত্না বলেন, শিশুরাও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী এবং তারা যেন মাদকের অপব্যবহার মুক্ত সম্প্রদায়ে বেঁচে থাকে এবং বেড়ে ওঠে তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। অ্যালকোহল, তামাক ও মাদক সেবনের কারণে শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর প্রায় ৪০,০০০ মানুষ মারা যায় তা উল্লেখ করে, শ্রীলঙ্কার জাতীয় ড্রাগস কন্ট্রোল বোর্ডের (এনডিডিসিবি) চেয়ারম্যান শাক্য নানায়াক্কারা বলেছেন, মাদকমুক্ত শৈশব আমাদের লক্ষ। তিনি আরও বলেন, “সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই পদক্ষেপ উপমহাদেশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে। নেপাল কনসার্নড সেন্টার (সিডব্লিউআইএন)প্রতিনিধি সুমনিমা তুলাধার নেপালের শিশু শ্রমিকদের কথা তুলে ধরতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, যেসব শিশু মাদক ব্যবহার করে এবং কম সুবিধাপ্রাপ্ত পরিস্থিতিতে বাস করে তারা নির্যাতন এবং যৌন শোষণের সম্মুখীন হয়।