কাঠমান্ডু,১২ জুলাই: ২০২০ সাল থেকেই নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটালভাবে চলছিল।আর এবার
সেই পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়লো। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেন না কেপি শর্মা ওলি।পাঁচ মাসে দ্বিতীয়বার ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্গঠনের নির্দেশ দিল নেপালের শীর্ষ আদালত। সোমবার নেপালের সুপ্রিম কোর্ট ওলিকে সরিয়ে দু’দিনের মধ্যে
তাঁর জায়গায় নেপাল কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেওবাকে প্রধানমন্ত্রী করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নির্দেশ দিয়েছে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ।নেপাল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র শামশের রানা। এছাড়াও চার সিনিয়র বিচারপতিও ছিলেন। বিচারপতি দীপত কুমার কারকি, বিচারপতি মীরা খাদেকা, বিচারপতি ঈশ্বর প্রসাদ খাতিওয়াড়া এবং বিচারপতি ডঃ আনন্দ মোহন ভাট্টারিয়া। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই ওলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। ভারতের সঙ্গে বিরোধিতা শুরু করেছিল নেপাল। এমনকী সীমান্তে গুলি চালানো থেকে শুরু করে ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর্যন্ত ঘটনা ঘটেছিল। উল্লেখ্য যে,আস্থাভোটের পর গত ২২ মে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ মেনে সংসদের ২৭৫ সদস্যের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। সেই সঙ্গে আগামী ১২ এবং ১৯ নভেম্বর অন্তর্বর্তী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার পরই শীর্ষ আদালতে ৩০টি হলফনামা জমা পড়ে। তার মধ্যে একটি হলফনামা দায়ের করেছে নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। গত ২০ ডিসেম্বর মাসেও একই ভাবে ওলির সুপারিশে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিলেন বিদ্যাদেবী। সে বারও ফেব্রুয়ারি মাসে নিম্নকক্ষ পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় নেপালের শীর্ষ আদালত।