পুবের কলম প্রতিবেদক: পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। এদিকে বেসরকারি কর্মীদের জন্য একটি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই বেসরকারি কর্মীদের রাজ্য শ্রম দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষ্যে এনআই (নেগোসিয়েট ইনস্ট্রিমেন্ট ) অ্যাক্টে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২২টি জেলায় ভোট হবে। সেখানে এই ছুটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। এদিকে এই ছুটি নিয়ে সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের অধীনে থাকা এলাকায় সরকারি, সরকারি সংস্থা, স্বয়ংশাসিত সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে। এদিকে বহু সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। সেই ভোট গ্রহণকেন্দ্রে আগে থেকে একাধিক প্রস্তুতি নিতে হয়। তাছাড়া আগের দিন রাত থেকেই সেখানে ভোটকর্মী, পুলিশ আসতে শুরু করেন। রাতের তারা সেখানেই থাকেন।
সমস্ত জায়গায় একেবারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হিসাবে যে স্কুল বা সরকারি ভবনগুলি নেওয়া হবে সেগুলি ৬-৭ জুলাই বন্ধ থাকবে। তবে সেখানে ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হবে। রাজ্যে এক দফাতেই ভোট। তাতে বেসরকারি দফতরের কর্মীরা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই জন্য শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে ওই দিন বেসরকারি অফিসগুলিতে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য শ্রম দফতর।
কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণকেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হলে সেখানে ৬ জুলাই থেকে তার প্রস্তুতি চলবে। সেকারণে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হবে। তবে ভোটের পরেরদিন রবিবার হওয়ার কারণে কিছুটা সুবিধা হবে। আলাদা করে আর স্কুল পরিষ্কারের জন্য ছুটির প্রয়োজন নেই। সোমবার থেকে আবার পঠনপাঠন শুরু হবে। তবে তার আগে ৬-৭-৮-৯ পরপর চারদিন ছুটি থাকবে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। ৯ জুলাই রবিবার হওয়ার কারণে এমনিতেই ছুটি থাকে।
তবে ৮ জুলাই শনিবার হওয়ার কারণে বহু ক্ষেত্রেই সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। তবে স্কুল শনিবার হাফছুটি হয়। তবে এবার ভোটের দিন স্কুলে ছুটি দেওয়া হচ্ছে।