পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের ১ হাজার হজযাত্রীর হজের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে সউদি আরব সরকার। এই তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন সেই সব হজযাত্রীরা, যাদের পরিবার থেকে অন্তত একজন সদস্য ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত, আহত বা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন।
সউদি আরবের বাদশাহ সলমন বিন আবদুল আজিজ আল সউদি শনিবার এই ঘোষণা করেছেন। সউদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের মন্ত্রী ড. শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শেখ রাষ্ট্রীয় মিডিয়াকে বলেন, ‘বাদশাহ সলমনের এই উদারতা একদিকে যেমন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণের সঙ্গে সউদি আরবের সম্পর্কের গভীরতা আরও একবার প্রমাণ করল, তেমনই স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের বিপুল ত্যাগকেও স্বীকৃতি দিল।’
মন্ত্রী জানান, এই এক হাজার হজযাত্রীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ফিলিস্তিনিদের সউদি আরবে আসার খরচ থেকে শুরু করে হজের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে সউদি সরকার। ফিলিস্তিনিদের হজের জন্য তালিকা তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শেখ।
মুহাম্মদ আল জান্নাতি এই তালিকায় স্থান পাওয়া একজন ফিলিস্তিনি হজযাত্রী। তিনি জানান, পবিত্র হজ করার জন্য গত ১৭ বছর ধরে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে এতদিন যেতে পারেননি প্রিয় মক্কায়। বলেন, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ,যিনি আমাদের ভাগ্য খুলেছেন। আমাদের যা পরিস্থিতি, তাতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনির নিজের অর্থে হজ করার সামর্থ্য নেই। তাই সউদি নেতৃত্বের এই বদান্যতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রতি সহমর্মী হওয়ার জন্য সউদির জনগণকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।।’
ইসলামের ৫টি মূলস্তম্ভের একটি হল হজ। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক। চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে হজ মরশুম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।