পাটনা, ২৪ ডিসেম্বর: বিহারে মদ নিষিদ্ধ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি। মদ নিষিদ্ধের কারণে রাজ্যে পর্যটন ধাক্কা খাচ্ছে। ক্রমাগত রাজস্ব হারাচ্ছে বিহার বলেই মন্তব্য করেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে মদ সেবনের নিয়মগুলি শিথিল করার পক্ষেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উচিত বিহারে গুজরাতের মত মদ নিষেধাজ্ঞার নতুন মডেল প্রয়োগ করা। এতে বাণিজ্য এবং বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি পাবে।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিহার ক্রমাগত রাজস্ব হারাচ্ছে। মদ নিষিদ্ধের কারণে পর্যটন শিল্পেও আঘাত হেনেছে। আমি বারবার বলেছি যে সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণের অনুমতি দিতে। এতে মানুষের উপকার হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিহার সরকার রাজ্যজুড়ে মদ নিষিদ্ধ করে। মদ বিক্রি, ক্রয়, ব্যবহার, উৎপাদন এবং সংরক্ষণের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিয়ম লঙ্ঘন করলে মোটা জরিমানা ও কঠোর শাস্তির কথাও বলা হয়েছিল। অন্যদিকে, গুজরাত রাজ্যেও মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৬৩ বছর পর শর্তসাপেক্ষে ফের মদ বিক্রিতে অনুমতি দিয়েছে মোদির রাজ্যটি। গত শুক্রবার গুজরাত সরকারের নারকোটিক্স ও আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, কেবলমাত্র হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ক্লাবগুলিতে মিলবে মদ। সেই সঙ্গে এই পরিষেবা কেবলমাত্র গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স টেক সিটিতে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, বোতল ভর্তি মদ বিক্রি করা যাবে না। ‘ওয়াইন অ্যান্ড ডাইনে’ই খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মদ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি। গুজরাতে মদ শিথিলতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘গুজরাত সরকারের নিয়মনীতি অনুসরণ করা উচিত বিহারের। এমনটা করলে বৈদেশিক মুদ্রা ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে রাজ্যে।’ তিনি নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে মাঞ্জি বলেন, ‘২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত নীতীশ সরকার প্রতিটি বাড়িতে মদ সরবরাহ করেছিলেন। আজ তিনি বলছেন, তিনি মদ খাওয়ার বিরুদ্ধে।’