পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পবিত্র ঈদ উল আযহার ছুটিতে গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছিল। কায়রোয় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, মিশরে থাকা ফিলিস্তিনিদের তাদের পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানোর জন্য গাজায় যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এবং দু’দিনের জন্য গাজা থেকেও মানুষজন মিশরে জরুরি কাজে যেতে পেরেছিলেন। ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানায়, এর আগে গাজায় ১১ দিনের ইসরাইলি হামলা চলাকালীন কায়রো বিমানবন্দরে কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে ছিলেন ফিলিস্তিনিরা। মে মাসেই শেষবারের মতোই রাফাহ সীমান্ত উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সেসময় শুধুমাত্র অসুস্থ, শিক্ষার্থী ও মানবিক মামলাগুলিতেই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। যদিও বুধবার থেকে সীমান্তপথটি পুনরায় বন্ধ করে দিয়েছে মিশর। তার আগেই সমস্ত কাজ মিটিয়ে সকলেই সীমান্ত পার করে যে যার দেশে ফিরে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই রাফাহ সীমান্তই অবরুদ্ধ গাজার ২০ লক্ষ মানুষের একমাত্র বের হওয়ার পথ। বিগত ১৩ বছর ধরে ইসরাইল গাজার ওপর যে অবরোধ জারি রেখেছে সেটিকে সমর্থন করে রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখার নীতি নিয়েছে মিশর। সাধারণ মানুষ, খাবার, গ্যাস বা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কোনও সামগ্রীই এই সীমান্ত দিয়ে নিয়ে আসা বা যাওয়ার অনুমতি নেই। এই অবস্থার কারণেই গাজা উপত্যকাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত জেলখানার নাম দিয়েছেন অনেকে।