পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বছর প্রায় শেষ হতে চলল, কিন্তু এখনও মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। তবে হাল ছাড়তে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকেরা। অনেক চাপান-উতোর পেরিয়েও সরব তারা। আন্দোলন আরও জোরালো হচ্ছে। এবার দিল্লির যন্তর-মন্তরে সামনে আজ থেকে বসছে ‘কিসান সংসদ’। সংসদের সম্পূর্ণ অনুকরণেই এই কিসান সংসদ গঠন করা হয়েছে। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করা হবে সংসদে। প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত।
চলতি বছরের শুরুতে কনকনে হাড়হিম করা ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে মোদি সরকারের পাস করা বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, তার আঁচ এবার পড়বে দিল্লির বুকেই। শুধু দিল্লির সীমান্তের মধ্যে আর আটকে নেই আন্দোলন। অধিবেশন শুরু হতেই ফের একবার কৃষি আইন নিয়ে সরব কৃষকরা। দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে অনুমোদন আদায় করে রীতিমতো আঁটঘাট নেমে নামছে তারা। বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লির যন্তর মন্তরে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে পারবেন তাঁরা, তবে মেলেনি কোনও প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি। তবে সাধারণ তন্ত্র দিবসে যে বিশৃঙ্খলার দায়ভার কৃষকদের মাথায় চাপানো হয়েছিল, এবার তাই আগেভাগেই সতর্ক তারা। প্রশাসনের তরফেও একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যন্তর মন্তরে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ২০৬-র গণ্ডি পার করতে পারবে না। এরমধ্যে ২০০ জন সংযুক্ত কিসান মোর্চার ও ৬ জন কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির প্রতিনিধি থাকবেন।
সিংহু সীমান্ত থেকে সংসদ ভবন অবধি পায়ে হেঁটে যাওয়ার দাবি জানালেও তা নাকচ করে, তাদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মানতে হবে করোনা বিধিনিষেধ।
২৬ জানুয়ারির হিংসার ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “করোনা বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখেই কৃষকদের কোনও পদযাত্রা করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।” আন্দোলন চলাকালীন জারি হয়েছে সরর্কতা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, দিল্লির যন্তর মন্তরে কিসান সংসদ গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।