পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যৌন হেনস্থার শিকার কলেজের ৫০০ ছাত্রী। অভিযুক্ত অধ্যাপকের অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি দফতর সহ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন নির্যাতিতারা। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের দাবি তুলেছেন ছাত্রীরা। শির্সার পুলিশ আধিকারিক দীপ্তি জর্জ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজন ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যাপককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করা হবে।
চৌধুরী দেবী লাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। হরিয়ানার এই কলেজের ৫০০ পড়ুয়া প্রধানমন্ত্রী দফতর সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের কাছে চিঠি লিখে তাদের অভিযোগ জানিয়ে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের অপসারণের দাবি তুলেছে। চিঠির একটি প্রতিলিপি ভাইস চ্যান্সেলর ডা. আজমীর সিং মালিক, হরিয়ানার রাজ্যপাল বান্দারু দত্তাত্রেয়, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা, রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ কিছু বাছাই করা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অশালীন কাজের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীরা।
চিঠি অনুসারে, অভিযুক্ত অধ্যাপক মেয়েদের তার অফিসে ডাকেন, তাদের একটি বাথরুমে নিয়ে যান, সেখানে তাদের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে যৌন হেনস্থা করেন। প্রতিবাদ করলে তাদের পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ওই অধ্যাপক। চিঠির বয়ান অনুযায়ী বেশ কয়েকমাস ধরে ওই অধ্যাপক এই ধরনের কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ওই অধ্যাপকের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনওদিন জবাবদিহি চাওয়া হয়নি। মেয়েরা আরও দাবি করেছে উপাচার্য তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে, তাদের কলেজ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন।
কারণ অভিযুক্ত অধ্যাপক একজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এমনকী ভাইস চ্যান্সেলরও মেয়েদের লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ রাজেশ কুমার বনসাল বেনামি চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেজিস্টার জানিয়েছেন, চিঠিতে কোনও নাম নেই। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। পুলিশও ঘটনার তদন্ত করেছে। দোষীকে কোনওভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে একজন নির্দোষ শাস্তি পাক, সেটাও আমরা চাই না। সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রীরা জানিয়েছেন, পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে, তারা বেনামি চিঠি দিয়েছেন।