পুবের কলম প্রতিবেদক: বর্তমানে দূষণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই কলকাতা। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে ক্রমশই বেড়েছে দূষণের মাত্রা। মূলত যে-কোনও মেট্রো শহরেই দূষণের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে যানবাহন।
এই অবস্থায় সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র হাতে পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হাতে যে দূষণ পরীক্ষার যন্ত্র রয়েছে, তা দিয়ে শুধুমাত্র ডিজেল-চালিত গাড়িই পরীক্ষা করা যায়। তাই এবার এবার ডিজেলের পাশাপাশি পেট্রল, এলপিজি এবং সিএনজি-চালিত গাড়ির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র চাইছে লালবাজার। এই নতুন যন্ত্র দিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষা করা যাবে। কলকাতা পুরসভার তরফে এই নতুন যন্ত্র তুলে দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের হাতে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, দূষণ পরীক্ষা করার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভার কাছে অত্যাধুনিক ওই যন্ত্রের আবেদন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, পুরসভার তরফে সেই আবেদনে সাড়া দেওয়া মিলেছে। আপাতত ৩২টি অত্যাধুনিক যন্ত্র কেনা হবে বলে সূত্রের খবর। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাতেই এই যন্ত্র কিনবে পুরসভা। তারপর তা তুলে দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত ২৫টি যন্ত্র ট্র্যাফিক গার্ডকে একটি করে দেওয়া হবে। বাকি যন্ত্রগুলি দেওয়া হবে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের অ্যান্টি-পলিউশন সেলকে।
শুক্রবার এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মেট্রো প্ল্যানিং করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আমরা আশা করছি, খিদিরপুর ছাড়া সব মেট্রো নেটওয়ার্ক চালু হয়ে যাবে ২৪ সালের মধ্যে। পরিবহন মন্ত্র্রী থাকাকালীন আমি যে ১ হাজার ২৮০ ব্যাটারি বাস অর্ডার করেছিলাম, সেগুলোও এর মধ্যে চলে আসবে। এতে আগামীতে এয়ার কোয়ালিটি অনেকটা ভালো হবে। গ্রীন ট্রান্সপোর্ট-এর ব্যবহার বাড়লে দূষণ কমবে। একটা সময় অনেক জলাশয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গাছ কাটা হয়েছিল। বর্তমানে সরকার সেই সমস্যাগুলোর সমাধানে সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
m