পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পোর্শে কাণ্ডে এবার গ্রেফতার অভিযুক্তের মা। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার। জানা গিয়েছে, নাবালক চালককে বাঁচানোর জন্য় রক্তের ভুয়ো নমুনা দিয়েছিলেন তার মা। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরি হয়, যাতে প্রমাণ করা যায় যে দুর্ঘটনার সময়ে নাবালক চালক মদ্যপ ছিল না। তার পর থেকে পলাতক ছিলেন ওই মহিলা। রক্তের নমুনা বদলের অভিযোগই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সসুন হাসপাতালে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নমুনা ফরেন্সিকে না পাঠানোর বদলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন শ্রীহরি হালনোর নামে এক কর্মী। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেন শ্রীহরি। এই কাজে সাহায্য করার অভিযোগে ওই হাসপাতালের এক পিয়নও যুক্ত ছিল। তদন্তে নেমে এই তিন ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে জেরা করা পরই উঠে আসে নাবালকের মা শিবানী আগরওয়ালের নাম। জানা যায় যে ছেলের রক্তের বদলে শিবানীর রক্ত পরীক্ষা করেই রিপোর্ট তৈরি হয়। বেশ কিছুদিন পলাতক থাকলেও অবশেষে গ্রেফতার হলেন ওই মহিলা।
প্রসঙ্গত, ১৯ মে পুণের রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ঘটনার সময় মত্ত ছিল কিশোর। সেই তথ্য আড়াল করতে সরকারি হাসপাতালে তার রক্তের নমুনা অন্য কারও সঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছিল বলে আগেই দাবি করেছিল পুলিশ। ঘটনার পর নিজেদের গাড়ির চালকের উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল গোটা পরিবার। তবে তা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত নাবালকের বাবা ও দাদু ইতিমধ্যেই গ্রেফতারর হয়েছেন।