পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ, আদানির শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় একের পর এক বিরোধীদের চাপে কোণঠাসা হচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীদলের সাংসদেরা আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এবার বিরোধীদের সমালোচনায় মোদির পালটা জবাব নির্বাচনে বিজেপিই জয়ী হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিজেপি যত বেশি জয়ী হবে, বিরোধীদের থেকে আরও বেশি প্রতিবাদের মুখোমুখি হতে হবে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বিরোধী দলগুলির এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে ভোটের হাতিয়ার করে এইভাবেই সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি বিজেপি বিরোধীদলগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনার সুর জোরালো হবে, বিজেপি তাদের জয়ের লক্ষ্যভেদের দিকে এগিয়ে যাবে।
দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের ৬ এপ্রিল দলের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং ১৪ এপ্রিল বি আর আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকীর মধ্যবর্তী সময়টিকে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য উৎসর্গ করার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম মেঘওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় বৈঠকে নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ১৫ মে থেকে একমাসের জন্য নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারি প্রকল্পগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ‘মাদার আর্থ’ প্রকল্পে কাজ করার জন্য দলের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। রাম মেঘওয়াল বলেন, ‘মাদার আর্থ’ প্রকল্প হল রাসায়নিক বিষক্রিয়া, দূষণ থেকে পরিবেশ, মানবতাকে মুক্ত করা। রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও এই সামাজিক কাজে যুক্ত হতে বলা হয়েছে। মোদি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ‘বেটি বাঁচাও’ প্রকল্প লিঙ্গ অনুপাত বৈষম্য রুখতে সাহায্য করেছিল।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সাংবাদিকদের বলেন, মোদি সাংসদদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে বলেছেন। বিরোধীদের বিক্ষোভের কথা সামনে এনে মন্ত্রী বলেন, মোদি গুজরাত নির্বাচনের সময়ই বলেছিলেন এই ধরনের আন্দোলন যত জোরালো হবে, বিজেপি আরও বেশি করে নির্বাচনে জয়ী হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের তিনটি রাজ্যে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই ছিল প্রথম বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক। দলটি ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।