পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ : উত্তরপ্রদেশের রামপুরে মহম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের খরচ দিচ্ছেন আজম খান। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল আজিজ কুরেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হল, মহম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকে সহ্য করা হচ্ছে না এবং সমস্ত দলের কিছু সাম্প্রদায়িক নেতাদের ঈর্ষায় গাত্রদাহ হচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আজিম খান ও সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং-এর দীর্ঘ লড়াইয়ের উপরও আলোকপাত করেছেন তিনি। কুরেশি বলেন, কংগ্রেস সরকার নিয়োজিত রাজ্যপালের জন্য প্রথম দশ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এই দলের মনোনীত দুই রাজ্যপালই মহম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধিত) বিলে অনুমোদন দেননি।
মুলায়ম সিং যাদবকে উদ্দেশ্য করে এক রাজ্যপাল একবার বলেছিলেন,”আপনি কি চান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিলকে আমি অনুমোদন দিয়ে পাকিস্তানে এর দরজা খুলে দিই? আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে ইতিমধ্যেই আমরা দেশভাগের যন্ত্রণা ভোগ করেছি, কারণ পাকিস্তান সৃষ্টিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় সাহায্য করেছিল।” কুরেশি যখন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন তখন মুলায়ম সিং এই কথোপকথনের বিষয়টি বলেছিলেন এবং বলতে বলতে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যে, আজিম কুরেশি উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হয়ে আসুন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলটি পাশ হয়।
২০১৪ সালের ১৭ জুন কুরেশি উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হয়ে আসেন, তবে মাত্র পাঁচ দিনের জন্য তাঁকে এই পদে রাখা হয়। এই পাঁচ দিনেই তিনি মহম্মদ আলি জওহর বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধিত) বিলটি পাশ করে দেন। এরপর তাঁর সেক্রেটারি নয়াদিল্লি থেকে বহু ফোন কল পেয়েছিলেন এবং তাঁকে বলা হয়েছিল কুরেশির কাছ থেকে ফাইল নিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিতে। মোদি সরকারের আধিকারিকরা কুরেশিকে ‘টোপ’ দেন যে, তাঁকে আরও পাঁচ বছর রাজ্যপাল হিসাবে রাখা হবে যদি তিনি ওই বিল অনুমোদন না করেন এবং ‘হুমকি’ দেওয়া হয় যে, যদি তিনি তা করেন তাহলে গভর্নরশিপ হারাবেন তিনি।