পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এক ইস্যুতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। আদালতে হাজির হতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, -‘কোর্টের নির্দেশের অবমাননা করা হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অবমাননার কাজ করেছেন বলেই মনে করছে আদালত’।অবমাননার আইন অনুযায়ী রুল জারি করার নির্দেশ রয়েছে। রুল জারি অর্থাত্ আদালতে আসতে হবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। আগামী ২৪ নভেম্বর আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে কমিশনারকে। এই ঘটনা কার্যত বেনজির বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
নির্বাচন কমিশনারের পদ একটি সাংবিধানিক পদ। আবার প্রধান বিচারপতি পদও একটি সাংবিধানিক পদ। নিঃসন্দেহে এই নির্দেশ অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই গন্ডগোল শুরু হয় রাজ্যে। এ নিয়ে মামলাও হয়। একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরমধ্যে অন্যতম নির্দেশ ছিল, -‘যদি কোনও হিংসা হয়, তার দায় নিতে হবে কমিশনারকে’।
এদিকে ভোটের পর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার ঠিক মতো হয়নি, এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা । আবেদনে শুভেন্দু অধিকারী উল্লেখ করেন, -‘আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন’।এই মামলার শুনানিপর্ব চলে।
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে শুক্রবার আদালত মনে করেছে প্রকৃত অর্থেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালত অবমাননা করেছে। সাধারণভাবে আদালতের রুল জারি করার অর্থ, যাঁর নামে এই রুল জারি হচ্ছে, তাঁকে হাজির হতে হবে আদালতে। বিচারপতি যা যা প্রশ্ন করবেন, জবাব দিতে হবে। ২৪ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত থেকে রাজীব সিনহা এই বক্তব্য পেশ করতে হবে বলে জানা গেছে ।