পারিজাত মোল্লা: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের আইনি বিপাকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার একটি মামলায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গেল বেঞ্চ।
পর্ষদ কাউন্সিলিং না করেই নিয়োগ পত্র দিয়ে দেওয়া দিয়েছে, তাও অন্যের নামে! দক্ষিণ দিনাজপুরে এমন ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে।এই নিয়ে মামলাকারী সালমা সুলতানার দাবি,-‘ ২০১৯ সালের শিক্ষক নিয়োগ কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে ডাকেনি পর্ষদ।অথচ নিয়োগপত্র পেয়েছি ‘। কীভাবে এমন সম্ভব, কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।
এদিন ভরা আদালতে কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে ফের উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি বোর্ডকে সময় দেব না নিজেদের গোছাতে। যদি অযৌক্তিক কিছু পাই তো ফরেন্সিকে পাঠাব।’,
উল্লেখ্য, সালমা সুলতানা নামে এক চাকরিপ্রার্থী আদালতে মামলা করে দাবি করেন, তাঁকে চাকরির জন্য কাউন্সেলিংয়ে ডাকাই হয়নি, তাও তিনি নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এদিন আদালতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান , কমিশন একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নিয়োগের জন্য যে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল তার মেয়াদ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯-এই শেষ হয়ে গেছে। তার আগেই কিছু নিয়োগ হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও গরমিল নেই’।
কমিশনের আইনজীবী সুতানু পাত্র দাবি করেন, -‘ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে মেধার ভিত্তিতে’। মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে আদালতে বলা হয়, মামলাকাররীকে ফোন করে ডাকা হয়নি। তিনি কীভাবে নিয়োগপত্র পেলেন তা বোর্ড কিছু জানে না। যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে, তখন এসএমএস বা ফোনে এইসব কাজ হত। এখন পুরোটাই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়’।
যা শুনে বিচারপতি বোর্ডের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি মনে হয় এখানে কিছু জলঘোলা হয়েছে তাহলে আদালতে বলতে পারে বোর্ড। কিন্তু এসএমএসে কীভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব? বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী ডিআই-এর কাছে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।’
এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, আগামী সোমবারের মধ্যে পুরো বিষয়টি রিপোর্ট দিতে হবে বোর্ডকে। পাশাপাশি ওই জেলার স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।এখন দেখার এই মামলায় কি জানায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?