পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে ও খুনে রায় ঘোষণা হাই কোর্টের। দোষী সাব্যস্ত দুজনের ফাঁসির সাজার বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। সইফুল আলির ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। আনসার আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। অপরাধ অনুযায়ী এই চারজনের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, সে কারণেই অবিলম্বে বেকসুর খালাসের নির্দেশ বলেই পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের।
দীর্ঘ ১০ বছর আগে ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৩ সালে এই ঘটনা ঘটে। হাই কোর্টের রায়ে হতাশ কামদুনি। আদালতের রায়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে কামদুনির মানুষ।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অন্য দিকে, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটার কারণে খালাস পেয়েছেন হাই কোর্ট থেকে। ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল।
২০১৬ সালে ৬ জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম। সইফুল, আনসার ও আমিনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। বাকি ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। দোষী সাব্যস্তরা সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানায়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা ওঠে।