পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আরও জোর দিল রাজ্যের শাসকদল। এবার রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে তিনটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল এনএবিএইচ অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে দামি ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হল। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে এবার থেকে কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্টের জন্য যে অর্থ খরচ হয়, তাও এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনেই পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থাতে। মুর্শিদাবাদ, মালদহে বেসরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিকের অস্ত্রোপচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে থাকা বিভিন্ন ওষুধ ও অত্যাধুনিক ডায়গনস্টিক টেস্টের জন্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, তার ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে। এই নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীর নির্দিষ্ট প্যাকেজের বাইরে থাকা একাধিক ওষুধ ও পরীক্ষার জন্য আগে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই রেট অত্যন্ত কম ও অবৈজ্ঞানিক বলেই অভিযোগ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল তো দূর, ছোট ছোট নার্সিংহোমগুলিও পুরনো এই রেটে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি হচ্ছিল না। এই দাবিগুলিকে মাথায় রেখেই এবার স্বাস্থ্যসাথীতে প্যাকেজের বাইরে থাকা ওষুধ ও ডায়গনস্টিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হল। তবে এই পরিষেবা সমস্ত হাসপাতালে পাওয়া যাবে না। রাজ্যের ৩০টি ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস অ্যান্ড হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার বা এনএবিএইচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাসপাতালেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ৩০টি হাসপাতালের তালিকায় কলকাতার বিভিন্ন বড় হাসপাতালের পাশাপাশি শহরতলির একাধিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমও রয়েছে।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফে মুর্শিদাবাদ ও মালদায় কেবলমাত্র জরুরি কোনও পরিস্থিতিতেই স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে অর্থোপেডিক অস্ত্রোপচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুই জেলাতেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে যেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে সাধারণ অর্থোপেডিকের অস্ত্রোপচার না করা হয়, তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। দুই জেলারই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।