পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে কত শূন্যপদ তা জানতে চেয়েছিল আদালত। কেন-না, রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল যে, আদালতের নিষেধাজ্ঞার জন্যেই শিক্ষক নিয়োগ থমকে রয়েছে। তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, রাজ্যে কত শূন্যপদ, কী করে চাকরি দেওয়া হবে, কী কী নিষেধাজ্ঞা আছে তা হলফনামা দিয়ে সরকারকে জানাতে হবে। শুক্রবার আদালতে সেই তথ্যই পেশ করল রাজ্য সরকার।
এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের এজলাসে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শিক্ষক- শিক্ষিকার পদে ১৮ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকে শূন্যপদ ৩ হাজার ৯৩৬টি। যথাক্রমে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি। নবম-দশম শ্রেণিতে শূন্যপদ ১৩ হাজার ৮৪২ এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষকের শূন্যপদ ৫ হাজার ৫২৭ টি। অন্যদিকে প্রধানশিক্ষকের পদ ফাঁকা আছে ২ হাজার ৩২৫ টি।
এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুলগুলির শূন্যপদের তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ হন। তিনি প্রশ্ন করেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক, প্রধানশিক্ষক পদে নিয়োগে কোনও আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই। তাহলে কেন নিয়োগ হচ্ছে না? তারপরই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যেই এ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় আদালতের নিষেধাজ্ঞার জন্যেই শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না।
এ নিয়ে বিচারপতি বলেন, রাজ্যের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বলছেন যে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এই ধরনের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা প্রয়োজন। প্রাথমিকের ৩৯৩৬ শূন্যপদে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই। কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না, সেটা বোধগম্য নয়। তারপরই শূন্যপদে নিয়োগ শুরুর বিষয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেন বিচারপরি।
স্কুল শিক্ষা দফতরের অধিকর্তাকে ১৭ আগস্ট হলফনামা জমা করতে হবে।