পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উদয়পুরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তব্ধ গোটা দেশ। ধিক্কার জানিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃত্বরাই। বিশেষ করে নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনগুলি। ঘটনায় কঠোরভাবে ধিক্কার জানিয়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজ্যের মানুষকে কোনও প্ররোচনায় কান না দিয়ে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিহত কানহাইয়া লালের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিন তিনি কানহাইয়া লালের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী কানহাইয়া লালের হত্যাকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট এই ঘটনায় সমস্ত দলকে রাজনীতি ভুলে একটি সর্বদলীয় বৈঠক অংশগ্রহণে আহ্বান জানান। বৈঠকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি বিল পাস হয়। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকেই বলেন, রাজ্যের মানুষের কোনও হুমকিকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সরকার সব সময় রাজ্যের মানুষের পাশে আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ, এটিএস, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, রাজস্থান পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী গেহলট এদিন রাজস্থানের ভীম শহরে উত্তেজিত জনতার হাতে পুলিশকে হেনস্থা নিন্দা জানান।
রাজস্থানের বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশী সকল রাজনৈতিক দলগুলিকে রাজ্যে শান্তি বজায় আবেদন জানান। তিনি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়বস্তু নজরদারি এবং একটি শক্তিশালী সাইবার গোয়েন্দা ব্যবস্থা তৈরি করার পরামর্শ দেন।
রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি মুখ্য গোবিন্দ সিং দোস্তারা বলেন, এই সময়ে রাজনীতি না করে সব দলেই সরকারের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং যাদবও রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় লোক দলের নেতা ও রাজস্থান কারিগরী শিক্ষামন্ত্রী সুভাষ গর্গ বলেন, এই ধরনের ঘটনা কোনও জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়।
রাজ্যে পুলিশের ডিজি এম এল ল্যাথার বলেন, দুই অভিযুক্তকেই ঘটনার চার ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদেরও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
সর্ব দলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে অরুণ চতুর্বেদী, রামলাল শর্মা, কংগ্রেস রাজ্য সভার সভাপতি গোবিন্দ সিং দোস্তারা, রাষ্ট্রীয় লোকসভার বিধায়ক সুভাষ গর্গ, আরএলপি (রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি) সভাপতি পোখরাজ, সিপিএম বিধায়ক বলবান পুনিয়া, সিপিএম সেক্রেটারি আমরারাম, সিপিআই সেক্রেটারি নরেন্দ্র আচার্য, কিষান মহাপঞ্চায়েত নেতা রামপাল জট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিধায়ক রাজকুমার গৌড়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিধায়ক সায়ন লোধা।