পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চে মঙ্গলবার বিলকিস বানোর পিটিশনের শুনানি ছিল। কিন্তু, আচ্মকা এদিন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। তবে ঠিক কারণে সরে দাঁড়ালেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। মামলার শুনানি হতেই বিচারপতি রাস্তোগি ঘোষণা দেন যে, বেলা ত্রিবেদী এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে চান। তাই এই মামলার শুনানির জন্য নতুন একটি বেঞ্চ গঠন করা হোক যেখানে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী থাকবেন না।
বিলকিসের মামলাটি এদিনই প্রথম শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আর এদিনই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। যদিও বিলকিসের আইনজীবী শোভা গুপ্তা বলার চেষ্টা করেন, তাঁরা একটু হতাশা বোধ করছেন কারণ, সামনেই সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি পড়ে যাবে।
ফলে মামলায় বিলম্ব হবে। বিচারপতিদের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অবশ্য ওই আইনজীবীকে কিছুটা আশ্বস্ত করে জানায়, মামলাটি ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। পালটা হলফনামাও পেশ হয়ে গিয়েছে। বিলকিসকে গণধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর শিশুসন্তান সহ পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার ১১ অপরাধীকে রেহাই দিয়েছে গুজরাত সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বিলকিস।
উল্লেখ্য, গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, যে ১১ জন অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছে। ১৪ বছর জেলের সাজা ভোগ করার পরই উত্তম আচরণের জন্য তাদের ছাড়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারেরও অনুমোদন ছিল।
২০২২ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েও একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন বিলকিস। এদিন সেই মামলাটিও গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল ১৯৯২ সালের ৯ জুলাইয়ের নীতি অনুযায়ী অপরাধীদের সাজার মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই মুক্তি দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে। তারপরই ১১ অপরাধীকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিনেই বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ‘ক্ষমা নীতি’র অধীনে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। তবে শুধু বিলকিস বানোর নয়, এই ১১ অপরাধীর রেহাইয়ের বিরুদ্ধে আরও অনেক পিটিশন দাখিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।