নয়াদিল্লি, ২৩ মার্চ: কেজরিওয়ালের জেলবার্তা পড়ে শোনালেন স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। কেজরির বার্তা পড়তে গিয়ে সুনীতা কেজরিওয়াল বলেন, “সমাজের হয়ে তিনি কাজ করে যাবেন। বিজেপিকে যেন কেউ ঘৃণা না করে। তাঁরা সকলেই আমাদের ভাই-বোন। দেশের মধ্যে এবং বাইরের প্রচুর শক্তি রয়েছে যারা দেশকে ভাঙতে চাইছে। আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই শক্তিদেরকে হারাতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী আরও বলেন, “দিল্লির মহিলারা হয়তো মনে করছেন কেজরিওয়াল জেলে চলে গিয়েছেন। কে তাঁদের ১ হাজার টাকা করে দেবে। তাঁদের সকলকেই অনুরোধ করছি তাঁরা যেন তাঁদের ভাই এবং ছেলের উপর ভরসা রাখেন। কোনও জেলই বেশিদিন তাঁকে আটকে রাখতে পারবে না। দ্রুতই জেল থেকে বের হব এবং নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব।”
এদিকে, গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারি নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। ক্ষমতার অহঙ্কার দেখিয়ে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করিয়েছেন মোদি বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুনীতা লেখেন, “এই গ্রেফতারি দিল্লির জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। মুখ্যমন্ত্রী সব সময় আপনাদের সঙ্গে থেকেছেন। দেশের জন্য সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। জনগণই তাঁর কাছে সব কিছু। জয় হিন্দ।”
প্রসঙ্গত, গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। লোকসভা ভোটের আবহে গতকাল রাতের দিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠার একটি নথি উদ্ধার করে তদন্তকারিরা বলে জানা গিয়েছে। নথিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। ইডি একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়েছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই এই মামলায় ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’।
ইডি সূত্রের খবর, মদের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়ে ৪৫ কোটি টাকা পেয়েছিল আপ সরকার। ২০২২ সালে গোয়া বিধানসভা ভোটে এই ৪৫ কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে দাবি। গোয়ায় আম আদমি পার্টির ৪০ জন প্রার্থীর মধ্যে এই টাকা পেয়েছিলেন ১৩ জন। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই কেজরিওয়ালের দলের দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিশোদিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে আছেন। দলের সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ওই একই মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছেন।