পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের জওয়ান মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১। সেনা সূত্রে খবর, এর মধ্যে ১৬ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। টানা বর্ষা ও ভূমিধসে আটকে পড়ে মৃত্যু হয় জওয়ানদের। মৃতদের মধ্যে ১০ জন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা বলে খবর। তবে অসমর্থিত সূত্রের খবর ১৯ জওয়ানের এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় এখনও নিয়ে ৫৫ জনের আটকে থাকার সম্ভাবনা
একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।
Spoke to Manipur CM Shri @NBirenSingh Ji and reviewed the situation due to a tragic landslide. Assured all possible support from the Centre. I pray for the safety of all those affected.
My thoughts are with the bereaved families. May the injured recover soon.
— Narendra Modi (@narendramodi) June 30, 2022
মোদি ট্যুইটে লেখেন, ‘মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জি’র সঙ্গে এই মর্মান্তিক ভূমিধস নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। কেন্দ্র সরকার সব রকম সাহায্যের জন্য পাশে আছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি। আমার সমবেদনা রয়েছে শোকাহত পরিবারের সঙ্গে। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
Shocked to know that nine jawans of the Darjeeling hills ( 107 Territorial Army unit)are among the casualties in the Manipur landslide. Deeply mourn the demises and extend
all solidarity and support to the next of kin.Heartfelt condolences.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 1, 2022
ঘটনায় ট্যুইটে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ।
শহিদদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, ‘মণিপুর ভূমিধসে হতাহতদের মধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ের নয়জন জওয়ান (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) রয়েছেন। এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত আমি। তাঁদের আত্মীয়দের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ভয়াবহ ধস নামে মণিপুরের টুপুল রেলস্টেশনের সামনে। ঘটনায় ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিটের ১৬ জন জওয়ান শহিদ হন। উদ্ধারকারী দল লাগাতার কাজ করে চলেছেন। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা প্রত্যেককেই উদ্ধার করা চেষ্টা করা হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম জানিয়েছেন, আগামীকাল ১০ জওয়ানের দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এদের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্শিয়াংয়ের ৯ এবং এক জওয়ান জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুটি বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে ১০ সেনা জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। বাগডোগরায় নামার পর নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে। সেখানে গান স্যালুট দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তাদের দেহ তুলে দেওয়া হবে।
ইস্টার্ন জোনের সেনা প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল কর্নেল আর পি কলিতা দুর্গম স্থান পরিদর্শন করেছেন। লেফট্যানেন্ট জেনারেল জানিয়েছেন, ধবংসস্তূপ থেকে ১৩ জন সেনা ও পাঁচজন স্থানীয় মানুষের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিখোঁজের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। ১০ জন টেরিটোরিয়াল সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।