পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সংখ্যা। মারাও যাচ্ছেন অনেকেই। ঠিক এই মুহূর্তে গত ২০১৭ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে নজরদারি টিমকে পুনরায় সক্রিয় করা এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়েছে বুধবার। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
ডেঙ্গু নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার পাশাপাশি মেডিক্যাল কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। তার আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছেন ডেঙ্গুতে। গত ১৬ নভেম্বর মালদায় ১৩ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গুতে মারা যায়। অথচ কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
অন্যদিকে এ দিন বিধানসভায় পরিসংখ্যান তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে ৬ জন প্রাণ হারান সরকারি ও ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে। বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে মশাবাহিত এই রোগ। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কমবে ডেঙ্গু। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, ডেঙ্গু নিয়ে এতদিন সরকারি ভাবে কোনও তথ্য তুলে ধরা হয়নি। ডেঙ্গুর তথ্য লোকানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পোর্টালে ডেঙ্গুর তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে জেলা সফর থেকে ফিরে নবান্নে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। তারপরই তাঁর নির্দেশ মেনে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেছিলেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। প্রকাশ করা হয় ১৪ দফা গাইডলাইন। যেখানে হাসপাতালগুলিকে ২৪ ঘণ্টায় ফিভার ক্লিনিক চালাতে বলা হয়। হাসপাতালে ভরতি থাকা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ল্যাব সার্ভিসও চালু রাখতে বলা হয়।