পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিদেশি অনুদান নয়ছয়ের অভিযোগে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র। এই দুটি সংস্থা হচ্ছে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ (সিএইচআরআই) এবং আপনে আপ উইমেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্ডিয়া (এএওয়াইওয়াইআই)। এই দুটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) লাইসেন্স বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
মন্ত্রক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত শেষ হয়েছে তাই লাইসেন্স এখন বাতিল করা হয়েছে। এই লাইসেন্স বাতিলের ফলে আর বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত বছরেই ১৮০ দিনের জন্য ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লঙ্ঘনের জন্য সিএইচআরআই-এর লাইসেন্স সাসপেনশন করে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রক বলেছিল, সিএইচআরআই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেনি। এর পর ২০১০ সালে সিএইচআরআইকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়াও বিদেশি টাকা আদান প্রদানের জন্য যে অ্যাকাউন্টটিকে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ২০১৬-১৭/২০১৭-১৮ সালের অ্যানুয়াল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও যে প্রজেক্ট দেখিয়ে বিদেশি টাকা গ্রহণ করা ও কিছু টাকা ফেরৎ পাঠানো হয়েছিল সেগুলি সম্পর্কে ২০১৩-১৪/ ২০১৪-১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি।
এর পর গত বছরই সাসপেনশনের আদেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিএইচআরআই। সেই সময় সিএইচআরআই জানায়, এই ১৮০ দিনের সাসপেনশন তাদের অস্তিত্বকে সংকটের মুখে ফেলেছে। এটি সুনামে জন্য অনেক ক্ষতি করেছে। আবেদনে বলা হয়েছে, সিএইচআরআই তার ৪০ জন কর্মী সদস্য এবং পরামর্শদাতাদের বেতন দেওয়ার অবস্থানে ছিল না। সিএইচআরআই আদালতে আরও জানায়, ২০১৮-১৯ সালের প্রাপ্ত ও ব্যবহার করা প্রকল্পভিত্তিক বিদেশি অবদানের সম্পূর্ণ বিবরণ তারা সরকারকে প্রদান করেছে। সিএইচআরআই-এর বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে তারা বিদেশি অনুদানের অনলাইন রসিদ, ক্লোজিং ব্যালেন্স, পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট, আয়ের হিসাব এবং ব্যয়ের হিসাব জানিয়েছে। তবে এর পরেও আদালত সিএইচআরআই-কে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে মুক্ত করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাসপেনশনের নির্দেশ বহাল রেখেছে।