পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এর এজলাসে উঠে প্যারা টিচার সংক্রান্ত মামলা। কীভাবে একজন অশিক্ষক কর্মীর (গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি) থেকেও প্যারা টিচাররা কম বেতন পান? আগেই এবিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য অনুমোদিত ফান্ডেরর বিষয়ে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। তার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদেরও এই বিষয়ে নিজেদের মত জানাতে হবে আদালতে।প্যারা টিচাররা শিক্ষক হয়েও এত কম বেতন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। মামলাকারীদের অভিযোগ, ‘মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে যে শিক্ষক সমাজকে গণ্য করা হয়, সেই শিক্ষক সমাজের মধ্যেও রয়েছে হাজারও বৈষম্য। প্যারা টিচার হওয়ার কারণে তাঁরা অশিক্ষক কর্মীদের থেকেও কম বেতন পান।” মামলকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘ কেন্দ্র ও রাজ্য দড়ি টানাটানিতে ভুগতে হচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের।’রাজ্যে সরকারের পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘এটা কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প। তাঁরা টাকা না বাড়ালে রাজ্যের পক্ষে এদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। ৬০-৪০ রেশিওতে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র শেষ কয়েক বছর যে পরিমান টাকা বরাদ্দ করেছে সেই পরিমান টাকা পরে অনুমোদন দেয়নি। এরফলে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়।’ এরপরই কেন্দ্রের হলফনামা তলব করে আদালত। আগামী ২২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ।তার আগে কেন্দ্র কে হলফনামা জমা দিতে হবে।