পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ শেষ হল ভোট পার্বনী। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হল ১৯ এপ্রিল। সাত দফায় দেশের ৫৪৩টি আসনে এবং বাংলার ৪২টি আসনে দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস যাবৎ ভোট গ্রহনের পর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হল। এবার অপেক্ষা ফলাফলের। মঙ্গলবার ৪ জুন প্রকাশিত হবে ইভিএম বন্দি জনতার রায়।
ভোট গ্রহণ শেষ হতেই সামনে এল বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষা। এই সমীক্ষা থেকে এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে বাংলায় শাসক ও বিরোধীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় হবে। কোনও কোনও সমীক্ষক সংস্থা বাম-কংগ্রেস জোটকেও একাধিক আসনে জয়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, যে সংস্থায় করুক না কেন বুথ ফেরত সমীক্ষা আসলে জনমতের একটি আভাস মাত্র। এই সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে প্রকৃত ফলাফলের একটা ধারণা পাওয়া যায় মাত্র। তবে অনেক সময় দেখা গেছে বুথ ফেরত সমীক্ষা এবং প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। কারণ ভোট শতাংশ থেকে আসন সংখ্যা বের করার প্রক্রিয়া জটিল। সেখানেই অনেক সময়ে ত্রুটি থেকে যায়।
এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে, বাংলায় বিজেপি ৪৩ শতাংশ, কংগ্রেস ১৩ শতাংশ, টিএমসি ৪২ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ২ শতাংশ ভোট পেতে পারে। তার ফলে বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৩-২৭টি আসন, কংগ্রেস-বাম জোট ১-৩ টি আসন এবং টিএমসি ১৩-১৭টি আসন পেতে পারে।
অন্যদিকে চাণক্য সংস্থার করা রিপোর্ট অনুসারে বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২৪ টি আসন (+- ৫), তৃণমূল পেতে পারে ১৭টি আসন (+-৫) এবং কংগ্রেস পেতে পারে ১টি আসন।
টিভি নাইনের সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ১৭টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ২৪টি আসন এবং ১ টা আসন পেতে পারে কংগ্রেস।
জান কি বাত সংস্থার করা রিপোর্ট অনুসারে বিজেপি পেতে পারে ২১-২৬, তৃণমূল পেতে পারে ১৬-১৮ বাম কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩টি আসন ( কংগ্রেস ২, সিপিএম ১)।
রিপাবলিক বাংলা সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২২টি আসন এবং তৃণমূল পেতে পারে ২০টি আসন। বাম কংগ্রেস জোট কোনও আসন পাবে না বলেই জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৪৩.৭ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ ভোট। ওই ভোটে বিজেপির শতকরা প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৬.৭২ শতাংশ ভোট কমেছিল বামেদের। বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৭.৫ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৭ শতাংশ।