পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর মৃতদেহ। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার আটঘরা মালপাড়া গ্রামের ঘটনা। মালা খাতুন নামে বছর ২২ বয়সের ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় তারই নিজের বাড়ি সেফটি ট্যাংক থেকে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মালা খাতুন ও তার স্বামী পেশায় হকার লিটুন মণ্ডল বাড়ির কাছেই তার শ্বশুরবাড়িতে খেতে যায়। বেলা একটা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি থেকে দুজনে বাড়িতে ফিরে আসে। দুপুর আড়াইটার দিকে লিটুন ফের তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানান, মালা খাতুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ও প্রতিবেশীরা তাকে খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সন্ধ্যেবেলায় লিটুনের বাড়ির শৌচালয় ঘরের সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা তুলতেই তার মধ্য থেকেই মালা খাতুন এর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মালা খাতুন ও লিটুন মণ্ডলের মধ্যে কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেশীরা তেমন কিছু জানাতে পারেনি। প্রতিবেশীরা জানায়, লিটুনের প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর বছর চারেক আগে ওই গ্রামেরই রাজু মালের কন্যা মালা খাতুন এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে মালা খাতুনকে বিয়েও করে নেয় লিটুন। এদিন মালা খাতুনের নিখোঁজের খবর জানাজানি হতেই অবশ্য লিটুন মণ্ডল বেপাত্তা হয়ে যায়। লিটুন হয়তো তাকে খুন করে সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তার নিখোঁজের খবর দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। মালা খাতুনকে খুন করা হয়েছে না আত্মহত্যার পর তার দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছে তার স্বামী, এ নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে মালা খাতুনের তা নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।