বেঙ্গালুরু, ৩০ জানুয়ারি: কর্ণাটকে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার পরিবর্তে উত্তোলন করা হয় গেরুয়া হনুমান পতাকা। সেই পতাকা সরানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে কর্ণাটকে। গত সোমবার মাণ্ড্য জেলার কেরাগোডু গ্রামে ১০৮ ফুট ফ্ল্যাগস্ট্যাফ থেকে গেরুয়া পতাকা সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি এবং জনতা দল। মঙ্গলবার বিজেপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ‘বংশধররা’ রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।’ বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলেও কটাক্ষ করেন সিদ্দারামাইয়া।
জানা গিয়েছে, কেরাগোডু পঞ্চায়েতে এক অনুষ্ঠানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেরঙ্গা পতাকার পরিবর্তে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে আয়োজকরা। পরে চাপে পড়ে কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মধ্যে এমন লোকও আছেন যাঁরা মুখে মহাত্মা গান্ধীর কথা বললেও গডসের উপাসনা করেন। যারা শান্তি বিঘ্নিত করার চক্রান্ত করছে তারা গডসের বংশধর। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। মানুষের প্রতি আস্থা রাখতে হয়। কেউ যেন সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর চেষ্টা না করে। অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে।”