পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা অতিমারি শেষ হতে চলেছে, এবার এই সুযোগকে আপনারা কাজে লাগান, এমনটাই বার্তা দিয়েছেন ‘হু’ প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেসুস। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর করোনা সংক্রমণ নিয়ে ‘হু’ প্রধানের এই বার্তা গোটা বিশ্ববাসীর কাছেই আশারবাণী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই প্রথম করোনা সংক্রমণ নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য তুলে ধরলেন হু প্রধান।
বুধবার হু প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেসুস ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এখনও অন্তিম লগ্নে পৌঁছয়নি। কিন্তু শেষ দেখা যাচ্ছে। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। তার শয়ে শয়ে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন করে চিনের জিং পিন সরকার।
পরবর্তীতে গোটা বিশ্বজুড়েই করোনা থাবা বসায়। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়। বলা যায় ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে গোটা বিশ্ববাসী। করোনা আতঙ্ক মানুষকে দিনভর তাড়া করে বেরিয়েছে। করোনা একধাক্কায় বিশ্বের অর্থনীতিতে তলানিতে নিয়ে আসে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ কিছুটা ভয়ের আবহ মাঝখানে তৈরি করে দিলেও গত সপ্তাহে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০২০ সালের মার্চ থেকে সর্বনিম্ন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু প্রধানের কথায়, ‘এটাই সঠিক সময় এগিয়ে যাওয়ার। করোনার আবহ কাটিয়ে এবার ভবিষ্যতে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দেশকে আরো কঠোর নীতি ও পরিকাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে হু প্রধান ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি সহ ১০০ শতাংশ মানুষের ওপরে টিকা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
হু প্রধান আধানম গেব্রেসুসের কথায়, বাকি সব দেশকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের তৈরি রাখতে হবে। তবে আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে ফের করোনা অন্য ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আসতে পারে। তার তার জন্য দেশকে প্রস্তুত ও সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড মহামারিতে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা বজায় থাকবে কিনা, সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।