পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: ডেঙ্গু ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। রাজ্যের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই ডেঙ্গুর বলি হচ্ছে মানুষ। সরকারিভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে চেতনা বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা থেকে মানুষ উদাসীন থাকছে।আর এ কারণেই ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে হাসপাতাল গুলিতে। তাই মানবিকতার কথা মাথায় রেখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এলো উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানার অন্তর্গত সালাফিয়া ঘোড়ারাস মাদ্রাসা। গত এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সচেতনতার বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। একদিকে সরকারি নির্দেশাবলী গুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনি ছাত্র ও শিক্ষক তথা গ্রামবাসীদের নিয়ে পদযাত্রা, মশারি মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে ডেঙ্গুর হাত থেকে রাহাই পাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা সালাফিয়া ঘোড়ারাস থেকে গোপালপুর মোড় পর্যন্ত এই পদযাত্রায় ৩০০ ছাত্র, শিক্ষক ছাড়াও শতাধিক স্থানীয় সচেতন মানুষ অংশগ্রহণ করে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ফাইজি বলেন, সকলে মিলে সচেতন হলে জীবাণু বহন কারী মশা থেকে বাঁচতে পারবো।
দরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রচেষ্টা চালানো।আপনারা জানেন ঘোড়ারাস সালাফিয়া মাদ্রাসা পরিবার বরাবরের মতো এবারও সামাজিক কল্যাণে, মানুষের পায়ে পা মিলিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতায় ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এই বার্তা দিচ্ছি যে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী মশা জন্মস্থান গুলি চিহ্ন করে তা নষ্ট করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীরকে ঢেকে রাখা এবং নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো জরুরী। প্রতিটি এলাকায় সমস্ত সচেতন মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেয় তাহলে ডেঙ্গুর এই ভয়াবহ মৃত্যু মিছিল থেকে আমরা রেহাই পাব। ঘোড়ারাস সালাফিয়া মাদ্রাসার এই ডেঙ্গু সচেতনতার কর্মসূচিতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ফাইজি ছাড়াও মামুন সালাফী,মাসুদ রানা সালাফী, ইদ্রিস রাহমানী,আশরাফুল হক মিফতাহি,জুয়েল সালাফী, তরিকুল ইসলাম,হাফেজ সোহেল সহ সমস্ত শিক্ষক মন্ডলী,কমিটির কর্মকর্তার ও গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলকে এই সেবার কাজে সাথী হওয়ার জন্য মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ফাইজি।